অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো। বাংলাদেশের এক সময়কার ‘পোস্টারবয়’ মোহাম্মদ আশরাফুল এবার নারী ও পুরুষ ক্রিকেট লিগে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। পুরুষ প্রিমিয়ার লিগে ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান কোচের ভূমিকা পালন করবেন তিনি, এবং নারী ক্রিকেট লিগে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের প্রধান প্রশিক্ষকও হবেন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক।
এখন পর্যন্ত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নামে পরিচিত ছিল এই ক্লাব, তবে এবার তার নাম পরিবর্তিত হয়ে শুধু ‘ধানমন্ডি ক্লাব’ রাখা হয়েছে। এবং সেই দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী বিভাগে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে এটি তার অভিষেক, যা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটারের জন্য নতুন এক দিক।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত কয়েক বছরে ধানমন্ডি ক্লাব অনেক শক্তিশালী ছিল। তবে, এখন আর সেই তারকাখচিত দলটি নেই, এবং ২০২৫ সালে ক্লাবের শক্তি অনেকটা কমে গেছে। যদিও নুরুল হাসান সোহান, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, ইয়াসির আলী রাব্বি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, হাসান মুরাদ, সানজামুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান সোহান ও আশিকুর রহমান শিবলি-সহ একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন। কাগজে-কলমে ধানমন্ডি ক্লাব হয়তো ৬-৭ নম্বর দল হতে পারে।
তবে, নতুন কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল আশাবাদী। তার মতে, এই দল নিয়ে সুপার লিগে খেলা সম্ভব। আশরাফুল বিশ্বাস করেন, যদি দলটি এক হয়ে খেলে, টপ ফোরে থাকা অসম্ভব নয়। তার ভাষায়, “আমাদের দলে বড় তারকা হয়তো নেই, কিন্তু যারা আছেন তারা একেবারে ফেলনা নয়। সোহানের মতো সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট যোদ্ধা আছে, যারা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম। ফজলে রাব্বি ও ইয়াসির আলী রাব্বি ঢাকার ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার, এবং তরুণদের মধ্যে হাবিবুর রহমান সোহান, আশিকুর রহমান শিবলি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, হাসান মুরাদ ও সানজামুল ইসলাম—সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে কার্যকর পারফর্মার।”
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল মনে করেন, সব মিলিয়ে দলটি ভালো না হলেও খারাপ নয় এবং এ দল নিয়ে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। “আমি সুপার লিগ খেলতে আশাবাদী। আমার বিশ্বাস, ছেলেরা তাদের সেরাটা দিয়ে দলে সেরা চারেও থাকতে পারবে।”