রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা কার না থাকে! আর তা যদি হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল), তবে তো কথাই নেই। আইপিএল, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় ক্রিকেট তারকারা খেলেন, সেখানে একটি বিশেষ কীর্তি বছরের পর বছর ধরে ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ সালে তার অভিষেক আসরে যে রেকর্ড তিনি গড়েছিলেন, তা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
মুস্তাফিজ ২০১৬ সালে প্রথমবার আইপিএলে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়ে তার পারফরম্যান্স দেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাকে দলে নেয়। সেই আসরে মুস্তাফিজ হয়ে ওঠেন দলের অন্যতম মূল ভরসা। কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি নিয়মিত উইকেট এনে দিচ্ছিলেন এবং তার দুর্দান্ত বোলিং দলকে সাহায্য করছিল। তার এই পারফরম্যান্সের কারণেই সেবার আইপিএলের শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ, যা এখনও পর্যন্ত তাদের একমাত্র শিরোপা।
মুস্তাফিজ তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার (ইমার্জিং প্লেয়ার) পুরস্কার পান। তার এই অর্জন ছিল বিশেষ, কারণ তিনি একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন। আজও তিনি একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার, যিনি এই খেতাবটি পেয়েছেন।
এ পর্যন্ত ১৬টি আইপিএল আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর ১৪টিতেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা এই পুরস্কারটি জিতেছেন। শুধুমাত্র ২০১৬ সালে মুস্তাফিজ ছিলেন একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার যিনি এই খেতাব জিতেছিলেন। ২০০৮ সালে শ্রীবৎস গোস্বামী প্রথম এই পুরস্কার পান, এরপর রোহিত শর্মা, সৌরভ তিওয়ারি, ইকবাল আব্দুল্লা, মানদ্বীপ সিং, স্যাঞ্জু স্যামসন, অক্ষর প্যাটেল, শ্রেয়াস আইয়ার, বাসিল থাম্বি, রিশভ পান্ট, শুবমান গিল, দেবদূত পাডিকাল, রুতুরাজ গাইকোয়াদ, উমরান মালিক, যশস্বী জাইসওয়াল, এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে নিতিশ কুমার রেড্ডি এই পুরস্কার অর্জন করেছেন।
মুস্তাফিজের মতো পেসারদের জন্য আইপিএলে এই খেতাব জেতা যেন সোনার হরিণ। তিনি ছাড়া শুধু ২ জন পেসার এই খেতাব জিতেছেন: উমরান মালিক (২০২২) এবং বাসিল থাম্বি (২০১৭)। মুস্তাফিজ ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট শিকার করেন, তার ইকোনমি রেট ছিল ৬.৯০, যা তার দারুণ বোলিং দক্ষতার প্রমাণ।