আজ রবিবার থেকে দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা আবারো কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর সাথে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করবেন। গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের ১৭টি চিকিৎসক সংগঠন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমবিবিএস চিকিৎসক ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। এ দাবি সহ ম্যাটস ইস্যুতে চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংগঠনগুলো যৌথভাবে এই অভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

এ কর্মসূচি আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ওই দিন আদালত ডাক্তার পদবী সংক্রান্ত রিটের রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এর আগে ম্যাটস ইস্যুতে চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেইনিং কোর্স” নাম পরিবর্তন করে “ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কোর্স” নামকরণ এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের “ডিপ্লোমা চিকিৎসক” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরুদ্ধে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেই মতামতের ভিত্তিতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

• ৯ মার্চ, দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত, সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা শিক্ষার্থীরা ডিউটি ও ক্লাস থেকে অব্যাহতি নিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এছাড়া স্মারকলিপি প্রদান, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিংও করা হবে।
• ১০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের দুর্বৃত্তায়ন রোধে অনলাইন ও অফলাইনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে। ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মশাল মিছিল, মৌনব্রত কর্মসূচি, প্রতীকী সার্টিফিকেট পোড়ানো এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হবে।
• ১১ মার্চ বেলা ১১টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি এবং ক্লাস বর্জন। শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এবং ভবিষ্যতে কর্মসূচি বর্ধিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
• ১২ মার্চ সারা দেশে একাডেমিক কার্যক্রম ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সকল ইন্টার্ন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করবেন। ১২ মার্চ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি হবে এবং বিকেল ৪টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এই সমন্বিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলো: আইএফএমএস বাংলাদেশ, এক্সিস মেডিকেল স্কুল, চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ, জেনেসিস অনলাইন ইউনিভার্সিটি, ডক্টরস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস, বাংলাদেশ ইসলামিক মেডিকেল সোসাইটি, বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মেডিকেল কমিউনিটি, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশি ফরেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক ফোরাম, ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি, প্লাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন, মেডিসিন ক্লাব, মেডিভার্স, রেসিডেন্ট অ্যান্ড ট্রেইনি ডক্টরস অব ডিএমসিএইচ, রিদম বাংলাদেশ ট্রাস্ট, স্টেথোস্কোপ, ভয়েস অব ডক্টরস, হোয়াইট কোট গংলারি, প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি।