রমজানের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববাসী মহাজাগতিক একটি ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। আগামী ১৩ বা ১৪ রমজানে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে, যা বিজ্ঞানীজগতে ‘ব্লাড মুন’ বা ‘রক্তিম চাঁদ’ হিসেবে পরিচিত। এটি ২০২২ সালের পর প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম সামা নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্লাড মুনের সময়, চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় পুরোপুরি ঢেকে যায় এবং এর ফলে চাঁদ রক্তিম রঙ ধারণ করে। এই দৃশ্যটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে দেখা যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লাড মুন উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলি থেকে আংশিকভাবে দেখা যাবে। ইউরোপের কিছু অংশ যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানি থেকেও আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তবে এই সময়ের মধ্যে চাঁদ অস্ত চলে যাবে।
এছাড়া আফ্রিকার মরক্কো, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ায় প্রথম অংশ দেখা যাবে, তবে চাঁদ অস্ত যাওয়ার কারণে পুরোপুরি গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না। অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পূর্ব চীনে চাঁদ ওঠার সময় এর শেষ অংশ দেখা যাবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে, বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরাকেও পূর্ণগ্রাস দৃশ্যমান হবে না, যদিও কিছু প্রাথমিক অংশ দেখা যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানান, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করে, যার ফলে সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে ছেঁকে গিয়ে রক্তিম আভার প্রতিফলন ঘটায়, যা ‘রেহলেই স্কেটারিং’ নামে পরিচিত। এর কারণে সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় আকাশও রক্তিম দেখায়।
এই মহাজাগতিক দৃশ্যটি খালি চোখেই দেখা যাবে, এর জন্য বিশেষ কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে না। আমেরিকার দর্শকরা UTC ৬টা ২৬ মিনিট থেকে ৭টা ৩১ মিনিটের মধ্যে এই দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। যারা সরাসরি দেখতে পারবেন না, তারা অনলাইনে এটি উপভোগ করতে পারবেন। চলতি বছর এবং আগামী বছর আরও দুটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে, একটি সেপ্টেম্বর মাসে এবং অপরটি ২০২৬ সালের মার্চে।