প্রথম ৯ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয়ের পর থিসারা পেরেরা জানিয়েছিলেন, তারা এখনও সেরা চারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। শেষ তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। তবে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে জিতে কাজটা একটু এগিয়ে রেখেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১৪৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তাদের খুব বেশি কিছু করতে হয়নি।
উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম ৭৫ রান তুললে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় ঢাকা ক্যাপিটালসের। লিটন ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ। বাঁহাতি ওপেনার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯০ রানের ইনিংস খেলে। চিটাগংকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে ঢাকা। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল এবং খুলনা টাইগার্স।
১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ ও লিটন। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা ৫৭ রান তোলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন তারা। তবে ইনিংসের নবম ওভারে এসে ঢাকাকে প্রথম উইকেট হারাতে হয়। হুসাইন তালাতের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন লিটন, কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ডিপ মিড উইকেটে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৫ রান করে ফিরে যান লিটন।
লিটন ফেরার পর আরাফাত সানির শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে তানজিদ ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। এটি ছিল চলমান বিপিএল মৌসুমে তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন শান্তভাবে।
তানজিদকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি মুনিম শাহরিয়ার, যিনি আলিস আল ইসলামের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ১২ রানে। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তানজিদ। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৯০ রানে, আর সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। চিটাগংয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম এবং হুসাইন তালাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং কিংস: ১৪৮/৬ (২০ ওভার) (নাঈম ৪৪, আকবরি ২৩, ক্লার্ক ১৯; মোসাদ্দেক ২/১৩, অপু ২/২৭)
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৪৯/২ (১৮.১ ওভার) (তানজিদ ৯০*, লিটন ২৫, মুনিম ১২, সাব্বির ১৪*; আলিস ১/১৮)
ডাকার বর্তমানে পয়েন্ট কত
ঢাকা কত পার্সেন্ট চান্স আছে সুপার চারে ওঠার জন্য