গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাধ্যমে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে ডাকার পরেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। ভারত সিরিজের পর বাংলাদেশের পরবর্তী তিনটি সিরিজেই সাকিব দল থেকে বাইরে ছিলেন। এমনকি চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এও তিনি অংশ নিচ্ছেন না, যার ফলে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও, সম্প্রতি সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তাকে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
আজ সিলেটে নির্বাচক কমিটির সাথে দুটি দফা আলোচনার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাংবাদিকদের জানান, “সাকিবের বিষয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি। তার বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা আসা কিছুটা অবাক করার মতোই।”
গত ডিসেম্বরে সাকিব তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন, কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া ওই পরীক্ষায় সাকিবের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো ছিল, যার কারণে তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
বর্তমানে, সাকিব ভারতের একটি ল্যাবে পুনরায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন, তবে তার পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। বিসিবি সাকিবের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্কভাবে মনোযোগ দিচ্ছে, এবং তার জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।
সাকিবের পরিস্থিতি নিয়ে বিসিবি যতটা সাবধানী, ততটাই দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষও উদ্বিগ্ন। তিনি একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার এবং জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার ফর্ম এবং সুস্থতার ওপরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত অনেকটা নির্ভর করছে, বিশেষত একটি বড় টুর্নামেন্টের আগে।