বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল এখন বেশ উত্তেজনাপূর্ণ পরিণতিতে পৌঁছেছে। প্লে-অফের লড়াইও চলছে জমজমাটভাবে। ৭টি দলের মধ্যে ১টি দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি ৬টি দলের মধ্যে রংপুর রাইডার্স এবং ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে। আর বাকি ২টি স্থান নিয়ে লড়াই করছে ৪টি দল।
দুর্বার রাজশাহী লিগের শেষ দিকে এসে সত্যিই দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে টানা দুই ম্যাচে হারানোর পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে তারা। ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী এখন টেবিলের ৩য় স্থানে। তবে, তারা আর কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে না, কারণ তাদের খেলা হয়ে গেছে ১২ ম্যাচ। প্লে-অফে যেতে হলে, রাজশাহীকে অন্য দলের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
২৯ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং কিংসের মধ্যে ম্যাচটি হবে। যদি রংপুর জেতে, তবে তারা এবং বরিশাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে। তবে, চিটাগং জিতলে তারা লড়াইয়ে থাকবে, তবে তাদের বাকি দুই ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও বরিশালকে হারাতে হবে, এবং রংপুর বা বরিশালের মধ্যে একে অপরকে হারাতে হবে তাদের বাকি ম্যাচে। যদি এমন হয়, তবে তিনটি দলই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থায় আসবে, এবং নেট রান রেটে সিদ্ধান্ত হবে কোয়ালিফায়ারে কে যাবে।
চিটাগং কিংস বর্তমানে ৪ নম্বরে আছে। তারা যদি বাকি ৩ ম্যাচের মধ্যে ২টি জিতে, তবে তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। ১টি জিতলেও আশা থাকবে, তবে তখন রান রেটের হিসাব গুরুত্বপূর্ণ হবে।
৫ম স্থানে থাকা খুলনা টাইগার্সের জন্য বাকি ২টি ম্যাচ জেতা জরুরি, তবেই প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ১টি ম্যাচ জিতলেও আশা থাকবে, তবে চিটাগং কিংসকে হারতে হবে তাদের বাকি ৩ ম্যাচে।
ঢাকা ক্যাপিটালসের অবস্থা বর্তমানে ঝুলছে। তাদের জন্য বাকি ২টি ম্যাচই জেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং পাশাপাশি আশা করতে হবে চিটাগং ও খুলনা যেন তাদের বাকি সব ম্যাচে হারে। বড় ব্যবধানে জিতলে নেট রান রেটের উপর প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে, তবে সম্ভাবনা খুবই কম।
লিগ পর্বে এখনো ৩টি দিন বাকি। ২টি প্লে-অফ স্থান নিয়ে চলছে দারুণ প্রতিযোগিতা। সামনের দিনগুলোতে দর্শকরা দেখবে উত্তেজনাপূর্ণ, টানটান ক্রিকেট।
এছাড়া, বিপিএলে রান ও উইকেটের দিক থেকে দেশি ক্রিকেটারদের দাপট চলছে। তানজিদ হাসান তামিম ৪২০ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক, তারপরে আছেন এনামুল হক বিজয় (৩৯২ রান), এবং তৃতীয় স্থানে জাকির হাসান (৩৭০ রান)। শীর্ষ পাঁচে আরও আছেন লিটন দাস (৩৪৮ রান) ও ইয়াসির আলী চৌধুরী (৩৩৬ রান)।
অন্যদিকে, তাসকিন আহমেদ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, তার উইকেটসংখ্যা ২৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুশদিল শাহের উইকেট ১৭, এবং ফাহিম আশরাফ ও আবু হায়দার রনি দুইজনের উইকেটও ১৭টি। আকিফ জাভেদের উইকেট ১৬।