দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তা গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং বাস্তবে পরিণত হয়নি। তবে নতুন বছরে এসে কিছুটা হলেও নেতৃত্বের দায়িত্ব কমিয়ে নিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে আর থাকছেন না তিনি।
নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগী হতে এমন সিদ্ধান্ত নেন শান্ত, যদিও বিসিবির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক পদে থাকবেন তিনি। মার্চের আগে কোনো ম্যাচ না থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখনও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে কোনো তাড়াহুড়া করছে না।
তবে এই আলোচনা থামছে না, এবং সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে আছেন তাঁদের নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হলো লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।
বর্তমানে ব্যাট হাতে কিছুটা ধুঁকলেও উইকেটের পেছনে এবং অধিনায়কত্বের দিক থেকে লিটন কুমার দাস বেশ ছন্দে আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার নেতৃত্বে দল মুগ্ধ হয়েছিল এবং সিরিজ শেষে তিনি জানান, বিসিবি চাইলে জাতীয় দলের অধিনায়ক হতে প্রস্তুত।
মেহেদি হাসান মিরাজের নামও বিবেচনায় রয়েছে, তবে টি-টোয়েন্টি দলের জন্য তার স্থিতি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, যা তাকে কিছুটা পিছিয়ে রেখেছে। তাছাড়া তাসকিন আহমেদের নামও আলোচনায় রয়েছে, তবে তার চোটের কারণে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে হয়, যা তাকে অধিনায়ক হওয়ার দৌড় থেকে কিছুটা পিছিয়ে ফেলছে।