চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, “এ কাজে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।”
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে “দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান” প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন।”
ভারতের মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রেস সচিব বলেন, “এ ধরনের আচরণ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
শেখ হাসিনাকে পতিত স্বৈরাচার এবং গুমের জননী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “এরা এখনো ড. ইউনূসকে জঙ্গি লিডার হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। তারা বিশ্বকে বোঝাতে চাচ্ছে যে, জুলাই-আগস্টের ঘটনা গণঅভ্যুত্থান ছিল না। ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে তারা নতুন ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা করছে।” এই প্রেক্ষাপটে গ্রাফিতি ও ডকুমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “স্বৈরাচার সরকার যাতে আবার মাথা চাড়া দিতে না পারে, তা গ্রাফিতির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, “ভারতের মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।” এ সময়, যদিও সমালোচনা করেছেন, তবে তার দল সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।