বাংলাদেশের প্রখ্যাত ওপেনার তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৭ বছরের দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারে তিনি শুধু অসংখ্য রেকর্ড ও কীর্তি সৃষ্টি করেছেন না, বরং অনেক স্মরণীয় মুহূর্তও তৈরি করেছেন, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।
তামিমের উল্লেখযোগ্য রেকর্ডসমূহ:
তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরি:
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যিনি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করে তিনি এই রেকর্ডটি গড়েন।
১৫ হাজার রানের মাইলফলক:
তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। দীর্ঘ সময় তিনি দেশের শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন।
ওয়ানডেতে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান:
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৮৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ২,৮৫৩ রান করে তিনি এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।
টেস্টে বাংলাদেশের ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান:
৫,১৩৪ রান নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি:
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে লিটন দাসের সঙ্গে ২৯২ রানের জুটি গড়ে তিনি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েন।
ওয়ানডে ও টেস্টে ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ রান:
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩১২ রানের জুটি গড়েন, যা টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি:
২০১২ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৩২ রানের জুটি গড়ে তিনি এখনও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড ধরে রেখেছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান:
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম, যার সেঞ্চুরি ছিল ১০৩*।
২৫টি সেঞ্চুরি এবং ৯৪টি হাফ সেঞ্চুরি:
তামিম তিন ফরম্যাটে ২৫টি সেঞ্চুরি এবং ৯৪টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। মোট ১১৯টি ইনিংসে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন, যা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি:
ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিম বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (১৪টি) করেছেন।
টেস্টে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি:
তামিম একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যিনি টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন।
ওয়ানডে ও টেস্টে সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি:
ওয়ানডে এবং টেস্টে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫৬টি এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।
৮ হাজার রান ওয়ানডেতে:
তামিম একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যিনি ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান করেছেন (৮,৩৫৭ রান)।
ছক্কার সেঞ্চুরি:
তামিম বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান, যিনি ওয়ানডেতে ১০০টি ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়েছেন। মোট ১৮৮টি ছক্কা তার নামের পাশে রয়েছে।
টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কা:
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (৪১টি) মারার রেকর্ডও তামিমের নামে, এছাড়া এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭টি ছক্কা মারার রেকর্ডও তার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি চার:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি চার (১৭৬০টি) মারার রেকর্ডও তামিমের।
অগণিত স্মরণীয় মুহূর্ত:
তামিমের ক্যারিয়ার ছিল নানা স্মরণীয় মুহূর্তে পূর্ণ, যেমন পোর্ট অফ স্পেনে জহির খানের বল থেকে ছক্কা হাঁকানো, লর্ডসে সেঞ্চুরি করে অনার্স বোর্ডে নাম তোলা, এবং ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলা।
ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা:
তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ বার ম্যাচ সেরা এবং ৭ বার সিরিজ সেরা হয়েছেন।
শূন্য রানে আউট হওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড:
সব ফরম্যাটে ৩৬ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও তার নামে।
ম্যাচ সংখ্যায় শীর্ষে:
৩৮৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তামিম বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে আছেন।
তামিম ইকবালের ক্যারিয়ার শুধু রেকর্ডে ভরা ছিল না, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমূল্য অংশ হয়ে থাকবে এবং তার প্রভাব আগামী প্রজন্মেও অনুভূত হবে।
আমি আসলে কি বলবো কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না😞।তিনি আমার শৈশব জিবনের অনেকটা অংশ জুরে ছিলেন।তাকে নিয়া কতো সপ্ন দেখতাম কতো কিছু ভাবতাম, কতো দিন কতো ঘন্টা যে পার করেছি তাকে ভাবদে ভাবদে😅।তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান যানাই প্রিয়💔! হয়তো তোমাকে বাস্তবে কখনো দেখি নাই কিন্তু কল্পনাতে সবসময় তুমি ছিলা😅। খুব খুব খুব খুব খুব খুব খুব খুব খুব খুব খুব মিছ করব আমার শৈশব এবং কৈশোর জীবনের সত্যিকারের হিরো💔😩🤧😭।অবসর জিবন সুখের হোক😅।