বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারদের মধ্যে বর্তমানে শাহীন আফ্রিদি অন্যতম। একের পর এক ব্যাটারদের বোলিংয়ের সামনে নাকানিচুবানি খাওয়ানোর মাধ্যমে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন তিনি। চলমান বিপিএলে অংশ নিতে শাহিন আফ্রিদি এসেছেন, এবং বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের এই পেসার ফরচুন বরিশালের হয়ে সিলেটে খেলছেন। গতকাল দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শাহিন, যেখানে তিনি টাইগার পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
শাহীন বলেন, “আমার মনে হয় তাদের বেশ ভালো পেস আক্রমণ রয়েছে। নাহিদ রানা আছে, সে অনেক গতিশীল। তাকে এই শক্তি ধরে রাখতে হবে। লাল বলের ক্রিকেটে আরও খেলে সে আরও পরিণত হবে। তাসকিন (আহমেদ) রয়েছে, সে দলের পেস ইউনিটের নেতা। তাছাড়া তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেনও ছিল, যিনি চোটে ছিলেন, কিন্তু এখন সেরে উঠেছে। তাই আমার মনে হয়, তাদের পেস বোলিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে শাহিন বলেন, “এখনও পর্যন্ত বিপিএল দারুণ উপভোগ করছি। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তাদের সমর্থন অনেক বেশি। তাই আমার সময় বেশ ভালো কাটছে, এবং অবশ্যই তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের সঙ্গে।”
ঢাকায় রান পাহাড়ের পর সিলেটেও প্রথম দিনে ছিল রান সংগ্রহ। দুই স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে তার মন্তব্য ছিল, “এই উইকেট মিরপুরের চেয়ে ভিন্ন। এখানে কম বাউন্স এবং সুইংও কম। তাই টাইট বোলিং করে যেতে হবে। গতকাল কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের প্রস্তুতি ছিল, ফলে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম আজ কী করতে হবে।”
তবে বাংলাদেশে এসে এখনও শাহিন আফ্রিদি তার পরিচিত বিধ্বংসী রূপ দেখাতে পারেননি। বরিশালের হয়ে তার বোলিংয়ে সেই ধার দেখা যায়নি। এ নিয়ে চাপ অনুভব করছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আসলে আমার কোনো চাপ নেই। অতীতে কী হয়েছে বা ভবিষ্যতে কী হবে, সেসব নিয়ে আমি ভাবি না। আমি শুধু বর্তমান নিয়ে ভাবি। উইকেট না নিলেও সমস্যা নেই, আমি প্রসেস ধরে রাখার পক্ষে।”
এছাড়া শাহিন আফ্রিদি আরও যোগ করেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট পাওয়া আপনার হাতে থাকে না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই ছোট বাউন্ডারিতে ভালো উইকেট থাকে। তাই প্রসেস অনুসরণ করে যেতে হবে। আমি সেটাই করেছি।”