বিপিএলের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তামিম ইকবাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারা ট্রফি নিয়ে যাবেন বরিশালে। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ফরচুন বরিশাল পুরো দল নিয়ে নিজেদের শহরে ফিরে আসে। তাদের ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে বরিশালের বেলস পার্কে হাজারো জনতা জড়ো হন। নির্ধারিত সময়ের আগেই সেখানে ভক্ত-সমর্থকরা জমায়েত হতে শুরু করেন।
তবে ভীরের কারণে মঞ্চে ট্রফি নিয়ে উঠতে ওঠতে বিকেল ৪টা বেজে যায়। ভ্যাপসা গরম ও উৎসুক জনতার চাপের কারণে ফরচুন বরিশালের ট্রফি ট্যুর ও কনসার্ট অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে পণ্ড হয়ে যায়। দর্শকদের উদ্দেশ্যে ট্রফি উঁচিয়ে কিছু সময়ের জন্য উপস্থিত থাকার পর দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তামিম, মুশফিক এবং শান্ত। ভক্তদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে না পারার জন্য এক ভিডিও বার্তায় দুঃখপ্রকাশ করেন তামিম।
তামিম ভিডিওতে বলেন, “আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আমরা আজকে বরিশালে এসেছিলাম, দুই দিন আগে আপনাদের সঙ্গে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল, তবে নিরাপত্তার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমাদের আশা ছিল, আমরা পুরো দল নিয়ে আসবো, আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো, কথা বলবো এবং সবাইকে কিছু না কিছু বলতে দিবো।”
তামিম আরও জানান, নিরাপত্তার কারণে তাদের দীর্ঘ অনুষ্ঠান অল্প সময়েই শেষ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা দল সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং তাদের পরামর্শে অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করতে হয়েছে।”
রোববার বেলা ২টার দিকে বিশেষ বিমানে গতবারের ও এবারকার শিরোপা নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় ফরচুন বরিশাল দল। সেখানে তামিমদের আগমনের অপেক্ষায় ছিল বরিশালবাসী। এরপর, তারা বিসিক শিল্প এলাকায় ফরচুন কার্যালয় উদ্দেশে রওনা হন, এবং পরে বেলস পার্কে পৌঁছান, যেখানে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তামিমরা অবাক হয়ে যান।
তামিম তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমরা স্টেজে খুব কম সময় থাকতে পেরেছি, কারণ আমার জীবনে আমি এতো মানুষ একসঙ্গে কখনও দেখিনি। দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ আমাদের দেখতে এসেছিল। এমন এক পরিস্থিতি হয়েছিল যে, আমাদের নিরাপত্তা দল এটিকে আর নিরাপদ মনে করেনি। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, আমরা যখন বাসে যাচ্ছিলাম, আমাদের বাসের উপরে পর্যন্ত মানুষ উঠে যাচ্ছিল। নিরাপত্তা দল আমাদের কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছিল, এটা আসলে সেফ নয়।”