বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ঢাকায় দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জ্যাক সুলিভান (যুক্তরাষ্ট্র) এবং অজিত দোভাল (ভারত) বাংলাদেশের নির্বাচন এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা একত্রে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব এবং উভয় দেশের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন এবং কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একযোগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়াও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং তাদের অধিকার নিয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। উভয় দেশের সরকার এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তারা চায় বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সহনশীলতা নিশ্চিত হোক।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ৭ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন যে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের ব্যাপারে যে গুঞ্জন উঠেছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “এমন গুঞ্জন বা খবরকে আমরা সমর্থন করি না এবং ভারতও এ ধরনের কথায় বিশ্বাস করে না।”
এই বৈঠকটি, যা দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রমাণ করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে মনোযোগী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকার গত কয়েক বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এবং নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা এবং সমর্থনের মাধ্যমে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল প্রক্রিয়া হতে পারে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।