বাংলাদেশের হয়ে মাত্রই অভিষেক হয়েছে হামজা চৌধুরীর। ভারতের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে তিনি প্রতিপক্ষকে রীতিমতো দুলিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, সেই অধ্যায় আপাতত শেষ হয়ে তিনি ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে।
ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে ফর্ম বজায় রেখেছেন হামজা, এবং পুরো ম্যাচে তার উপস্থিতি এক ধরনের আলাদা অনুভূতি তৈরি করেছে। তার পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ তার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে কভেন্ট্রিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে।
এই ম্যাচটি হামজার জন্য বিশেষ ছিল, কারণ এর আগ পর্যন্ত তিনি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে খেললেও তার পরিচয় ছিল ভিন্ন। আজকের ম্যাচটি ছিল তার জন্য নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা, কারণ এবার তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল’ তকমাটি।
হামজা আজ শুরু থেকেই শেফিল্ডের হয়ে মাঠে ছিলেন। ৮৮ মিনিটে কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার তাকে তুলে নেন। আগের দুটি ম্যাচে কোচ তাকে রাইটব্যাক হিসেবে খেলিয়েছিলেন, কিন্তু আজ কভেন্ট্রির বিপক্ষে তাকে তার সহজাত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামানো হয়। এবং সেই ভূমিকা তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের দায়িত্বে থাকায় তার রক্ষণাত্মক অবদানই বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পুরো ম্যাচে তিনি ৪টি পাস ইন্টারসেপ্ট করেছেন এবং একটি শট ব্লক করেছেন। তিনি ৩১টি পাস দিয়েছেন, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল সফল। তিনটি লং বলের মধ্যে দুটি ছিল নিখুঁত। ভাগ্য সহায় হলে গোলও পেতে পারতেন, কারণ ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তার শটটি কভেন্ট্রি গোলরক্ষক দারুণভাবে প্রতিহত করেন।
এছাড়া, তার দল একটি গোল হজম করেছে, কিন্তু সেটা তার মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার পর। হামজার প্রভাব ম্যাচে স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছিল, যা তার দক্ষতা এবং অবস্থান বুঝিয়ে দেয়।