বিদ্যুৎ আমদানির নতুন করে, চুক্তি স্বাক্ষর বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

এই চুক্তিতে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছে নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানিয়েছেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অংশ নিতে বাংলাদেশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই নেপালে পৌঁছেছে। মূলত ৮ জনের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা থাকলেও, তা কমিয়ে ৪ জন করা হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৬.৪০ মার্কিন ডলার পাবে। বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতীয় ভূখণ্ড ও সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করা হবে, যা চুক্তির অংশ হিসেবে ভারতও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তিটি মূলত ২৮ জুলাই স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মুজাফফরপুর মিটারিং পয়েন্টসহ ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করা হবে। যদি এই লাইনে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা মেরামতের দায়িত্ব নেপালের।

এনইএ নেপালের ত্রিশূলি (২৫ মেগাওয়াট) এবং চিলিম (২২ মেগাওয়াট) প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা করেছে। উভয় প্রকল্পই ভারতের অনুমোদন পেয়েছে।

২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।

নেপাল প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে (১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে, যার পরিমাণ হবে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেগাওয়াট-ঘণ্টা। এতে নেপাল ৯.২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের পরিকল্পনা করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *