শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি চিটাগং কিংসের মেন্টর, জামাই শাহীন আফ্রিদি ফরচুন বরিশালের পেস ইউনিটের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি। বিপিএলে শহীদ আফ্রিদি এবং শাহীন আফ্রিদি হয়ে গেলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। দুজনই দুই দলে, এবং দুইজনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন। তবে শাহীন খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, কারণ তিনি জানেন, শ্বশুর অন্তত মাঠে প্রতিপক্ষ হিসেবে আসবেন না!
বিপিএলে শহীদ আফ্রিদি খেলোয়াড় হিসেবে অনেকবারই মাঠে নামলেও, বর্তমানে তিনি মূলত সাবেকদের টুর্নামেন্টে খেলেন। অন্যদিকে, শাহীন আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে। প্রথমবার যখন তিনি বিপিএল খেলতে এসেছিলেন, তখন আফ্রিদি ছিলেন ভিন্ন দলের পরামর্শক।
বাংলাদেশে আসার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শাহীনকে শ্বশুরের প্রসঙ্গ জিজ্ঞেস করা হয়। রসিক সুরে শাহীন তার জবাব দেন, “আসলে ব্যাপারটা ভালো। আমার জন্য এটা ভালো যে উনি খেলছেন না (হাসি)। মাঠে একে অপরের মুখোমুখি হবো না। উনি দলের মেন্টর। আমি আশা করি বাংলাদেশের তরুণরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখবে।”
ক্রিকেট মাঠে এখন তাদের দেখা হয় না, তবে জামাই-শ্বশুর সম্পর্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রয়েছে। বাংলাদেশে আসার আগের দিনেই আফ্রিদির সাথে ব্যাডমিন্টন খেলেছেন শাহীন। এবারের বিপিএলে সেতুবন্ধনের কাজ আফ্রিদি করছেন না, কারণ শাহীন এসেছেন তামিম ইকবালের আমন্ত্রণে, যার নেতৃত্বে বরিশাল শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখার লড়াইয়ে নামবে।
শাহীন বলেন, “বাংলাদেশের এমন একটি লিগে খেলতে আসতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। তামিম ভাই যখন আমাকে বরিশালের হয়ে খেলতে বললেন, খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে, তাদের সুপারস্টারদের ভালোবাসে। আশা করি বরিশাল ভালোই খেলবে।”
গত কয়েক বছর বিপিএল খেলার ইচ্ছা ছিল শাহীনের, তবে ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার টেস্ট সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়ে তিনি বিপিএলে এসেছেন। “গত ২-৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় আসতে পারিনি। এ বছর শিডিউল মিলে গেল। তামিম ভাই বলার পর তাই চলে এলাম। অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই,” বলেন শাহীন।