বিপিএল ২০২৪-এ সাঈদ আজমল, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো সুপারস্টাররা কোচিং প্যানেল বা পরামর্শক হিসেবে নাম লিখিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তবে তাদের কেউ প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছেন না। মাঠে খেলবেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু তাদের রণকৌশল নির্ধারণ করবেন কোচরা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচদের কাজ আরও কঠিন, কারণ স্বল্প সময়ের মধ্যে একত্রে দল গঠন এবং নানা দেশের সংস্কৃতি থেকে আসা ক্রিকেটারদের পরিচালনা করা সহজ নয়।
এবারের বিপিএলে সাতটি দল মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, আর তাদের পিছনে কোচরা কৌশল নির্ধারণ করবেন। এর মধ্যে চারজন দেশি এবং তিনজন বিদেশি কোচ আছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, বিপিএলের একাদশ আসরে কোন দলের কোচ কে:
ফরচুন বরিশালের প্রধান কোচ হিসেবে আবারো দায়িত্ব পালন করবেন মিজানুর রহমান বাবুল। তিনি দেশের অন্যতম সেরা কোচ এবং গত আসরে বরিশালকে শিরোপা জিতিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার কাজের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটারদের সাথে তার দারুণ সম্পর্ক তাকে বিশেষভাবে সফল করেছে।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ হিসেবে থাকছেন রাজিন সালেহ। যদিও তার কোচিং ক্যারিয়ার দীর্ঘ নয়, তবে তিনি সফল কোচ হিসেবে পরিচিত। তার অধীনে সিলেট প্রথমবার ফাইনাল খেলে এবং গত আসরে দলটি ভালো পারফর্ম করছিল না, কিন্তু রাজিনের নেতৃত্বে সিলেট বিভাগীয় দলের কোচ হিসেবেও সফল। এ বছর সিলেট বিভাগ এনসিএলের লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম শিরোপা জিতেছে।
বিপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এবার কোচিং করবেন ঢাকা ক্যাপিটালসে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজনের অধীনে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি শিরোপা জয় করেছে, এবং এবারও তার অধীনে দলটি কেমন পারফর্ম করে, সেটি দেখার অপেক্ষা।
বিপিএলের চতুর্থ দেশি কোচ হলেন তালহা জুবায়ের, যিনি খুলনা টাইগার্সের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। গত মৌসুমেও তিনি খুলনার কোচ ছিলেন এবং এ বছর তার পরামর্শে দলটি শক্তিশালী স্কোয়াড গঠন করেছে।
বাকি তিন দলই বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েছে। রংপুর রাইডার্সের কোচ হলেন মিকি আর্থার, যিনি গ্লোবাল সুপার লিগ জিতিয়েছেন। চিটাগং কিংস নিয়োগ দিয়েছে শন টেইটকে, যিনি দলের গঠন প্রক্রিয়াতেও জড়িত ছিলেন। আর দুর্বার রাজশাহী তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইজাজ আহমেদকে, যা একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত।