সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তারের আয়কর নথিতে পাওয়া গেছে ৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক সম্পদ, যার উৎস তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেননি ।
কর গোয়েন্দাদের মতে, শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কর ফাঁকি এবং জরিমানা দিতে হবে।
গোয়েন্দারা জানান, শিরিন আক্তার একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও এত টাকা তার কাছে থাকার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। রাজস্ব কর্মকর্তাদের ধারণা, এই টাকা সাকিব আল হাসানের দ্বারা তার মায়ের নামে সংরক্ষিত করা হয়েছে, যা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২০-২১ করবছরে শিরিন আক্তার প্রথম তার আয়কর রিটার্ন জমা দেন। সেখানে তিনি দেখান ৫০ কোটি দুই লাখ টাকা সম্পদ, যার মধ্যে তিনি ৯ কোটি টাকা সাকিবকে ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন। বাকি টাকার উৎস তিনি স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে শিরিন আক্তারের ৩৯ কোটি টাকার দায় নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে আরও বিস্তারিত তদন্তের পর এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
গোয়েন্দাদের মতে, যদি শিরিন আক্তার তার সম্পদের উৎস সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না করতে পারেন, তবে এটি আয়ের হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তার উপর কর আরোপ করা হবে। এ ছাড়া, আইন অনুযায়ী, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি আটকে দেয়া, কিংবা বিক্রি করা হতে পারে।
শিরিন আক্তারের সম্পদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে, এবং তাঁকে এর বাইরে কোনো সম্পত্তি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত করতে চাইছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনোভাবে টাকা সরিয়ে নিতে না পারে। একই সঙ্গে, শিরিন আক্তারের ছেলে সাকিব আল হাসান এবং তার স্বামী মাশরুর রেজা সম্পর্কিত নথিরও তদন্ত করা হচ্ছে।