মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিরুদ্ধে তিনশো মিলিয়ন ডলার অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে। এফবিআইয়ের লন্ডন প্রতিনিধি সংস্থাটি সম্প্রতি এ খবর নিশ্চিত করেছে, যা গত কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এফবিআই জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারের বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। পাশাপাশি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই বিষয়ে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে। এফবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশ থেকে তিনশো মিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের দুদক মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই তথ্য-প্রমাণ হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ১ অক্টোবর, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান মিশেল কোরে এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে, দুদক সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনও জানিয়েছে, হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদক মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর, দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে, যেখানে শেখ রেহানা, তার মেয়ে পি. টিউলিপ সিদ্দিক এবং অন্যরা নয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাত বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে আলাদা একটি তদন্তও চলছে।
এফবিআই যদি প্রমাণিত তথ্য প্রকাশ করে, তাহলে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ঘটনা হতে পারে। তবে, দেশীয় পর্যায়ে দুর্নীতি বা অর্থপাচারের অভিযোগ সাধারণত রাজনৈতিক অভিসন্ধি হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আসে এবং জানায় যে, এই পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তাহলে তা বাস্তবতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করবে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এটি আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।