ফাহিম আশরাফ যখন ক্রিজে আসেন, ফরচুন বরিশালের রান তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান। জয় থেকে ৮৬ রান দূরে ছিল তারা, হাতে ৪৬ বল।
ফাহিমের ব্যাটিং শুরু হয় ধীর গতিতে; প্রথম ৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। কিন্তু এরপর, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে গড়ে তোলেন একটি দুর্দান্ত জুটি। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অবিচ্ছিন্নভাবে ৩৫ বলে ৮৮ রান সংগ্রহ করেন। তাদের অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপে, ১৯৮ রান তাড়ায় বরিশাল জয় পায় ১১ বল হাতে রেখে। দুজনে একটি করে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম আশরাফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মাহমুদউল্লাহর সাথে জুটির সময় কি কথা হচ্ছিল। উত্তরে তিনি বলেন, “মাহমুদ ভাই একেবারে জাদুর মতো। প্রথম ৬-৭ বলেই আমি ১ রান করেছি। তখন আমি তাকে বললাম, ‘কী হচ্ছে?’ তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি শুধু টিকে থাকো।’ এমন একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সাথে খেললে সত্যিই ভালো লাগে। তিনি অনুপ্রেরণা দেন, চাপ সামাল দিতে সাহায্য করেন। সবকিছু অনেক সহজ হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল খুবই সাধারণ। আমরা জানতাম যে, পিএসএল, বিপিএল বা যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কিছুই হতে পারে। তাই আমরা খুব বড় কিছু ভাবিনি, শুধু ২ ওভার করে ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচটি জেতা।”
ম্যাচে দুর্বার রাজশাহী ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে। ইয়াসির আলী চৌধুরী মাত্র ৬ রানে সেঞ্চুরি মিস করেন। বরিশালের রান তাড়া করা অবস্থায় অনেকটা সময় মনে হচ্ছিল, এই রান তাদের জন্য যথেষ্ট। তবে শেষমেশ তারা হেরে যায়। উইকেট কি আরও বেশি রান হওয়ার মতো ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ফাহিম বলেন, “আমরা ২-৩ ওভার বল করার পর বুঝতে পারলাম উইকেট ভালো। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়তো ১৫০-১৬০ রানের উইকেট হবে। কিন্তু পরে দেখলাম স্লো বল হোল্ড করছে না, এবং ১৭০ রানের উইকেট মনে হচ্ছিল। ইয়াসির এবং এনামুল দারুণ খেলেছে পরে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ভালো ছিল। প্রথম ইনিংসে উইকেট নরম ছিল, কিন্তু পরে তা শক্ত এবং শুকনো হয়ে গেছে।”
অভিনন্দন বুড়ো মানুষটি কে।
অভিনন্দন বরিশাল।