বাংলাদেশের হয়ে ১৯ বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা মুশফিকুর রহিমের বিদায় অ্যালান ডোনাল্ডকেও আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। কিংবদন্তি প্রোটিয়া পেসার ডোনাল্ড বাংলাদেশের সাথে কাজ করার সময়ে মুশফিকের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মুশফিকের সাহায্যেই বাংলাদেশে পেস বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল। পেস বোলারদের সঙ্গে কাজ করলেও, মুশফিকের সাথেও তার সম্পর্ক ছিল উষ্ণ। মুশফিকের অবসরের খবর শুনে তিনি তার পুরনো স্মৃতিগুলো তুলে ধরেছেন।
অবসরের খবর ডোনাল্ডের কাছে কিছুটা দেরিতে পৌঁছালেও, খবরটা শুনে তিনি যে আবেগপূর্ণ হয়ে পড়েছেন, তা তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মুশফিকের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, যেখানে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তাকে শেষবার দেখা যায়। সেই দিনের একটি ছবি পোস্ট করে ডোনাল্ড লিখেছেন, “আজ সকালে জানলাম মুশফিক নাকি ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে। বাংলাদেশে আমার কাটানো সময়টায় মুশফিকের সঙ্গ আমি খুব উপভোগ করেছি।”
মুশফিক ক্যারিয়ারের প্রতিটি পদক্ষেপেই পেশাদারিত্বের অসামান্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি নিজের মেধাকে কম মনে করলেও, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। ডোনাল্ডের কথায় মুশফিকের পরিশ্রম এবং নিবেদন সম্পর্কে প্রশংসা উঠে এসেছে। মুশফিক তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আদর্শ, এমনটাও মন্তব্য করেছেন টাইগারদের সাবেক কোচ।
ডোনাল্ড বলেন, “তিনি পুরোদমে পেশাদার, ক্রিকেটের প্রতিটি দিক থেকে কঠোর পরিশ্রমী। তার জন্য, এটি ছিল এই যে, আপনি কতটা গুরুত্বের সঙ্গে অনুশীলন করেন, এবং মুশফিক ছিল সেখানে একদম পেশাদার। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তিনি দারুণ একটি দৃষ্টান্ত, যারা তাকে অনুসরণ করতে চায়। সামনের জীবনের জন্য শুভকামনা।”