চট্টগ্রামে বিপিএল খেলার মাঝপথে বিরতি দিনটি ছিল একেবারে আলাদা। আটটি ম্যাচ শেষ করার পর ক্রিকেটাররা একদিনের বিরতিতে নিজেদের কিছুটা তরতাজা করে নেন। তবে এই বিরতির দিনে শুধু বিশ্রাম নয়, বরং ক্রিকেটাররা মেতে উঠেছিলেন আনন্দ ও ফুর্তির এক বিশেষ আয়োজনে।
২০ জানুয়ারি রাতে ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটাররা একত্রিত হয়ে খেলেছিলেন একটি ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ। এই ম্যাচের আয়োজক ছিল চট্টগ্রামের বিশাল সংগঠন ‘এশিয়ান গ্রুপ’। খুলনা টাইগার্স এবং ফরচুন বরিশালের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেছিলেন এই মজাদার ফুটবল ম্যাচে।
ফুটবল ম্যাচ শেষে ‘এশিয়ান গ্রুপ’ আয়োজন করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক এবং চট্টগ্রামের সন্তান তামিম ইকবাল এই আয়োজনে অভিভূত হয়ে ধন্যবাদ জানান ‘এশিয়ান গ্রুপ’-এর কর্ণধার মো. সাকিব এবং তার পিতা মো. সালামকে। তামিম বলেন, “আমি চট্টগ্রামে এসে সাকিবকে বলছিলাম, প্লেয়ারদের জন্য কিছু বিনোদন আয়োজন করা যায় কিনা। বিশেষ করে খেলোয়াড়রা এখানে এসে মেজবান খেতে পছন্দ করে, কিন্তু রেস্টুরেন্টে গিয়ে তারা আসল মেজবানের স্বাদ পায় না।” এ কথা শোনার পর সাকিব নিজ উদ্যোগে এই আয়োজন করেছেন। তামিম আরও জানান, এমন আয়োজন ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্ক ও বন্ধন দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
এদিকে, খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও চট্টগ্রামের আতিথেয়তায় মুগ্ধ। তিনি বলেন, “সাধারণত রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভ্যাস হলেও, এইভাবে ঘরোয়া পরিবেশে মেজবান খেয়ে আমরা দারুণ খুশি।” এজন্য মিরাজও ধন্যবাদ জানান এশিয়ান গ্রুপের কর্ণধার মো. সাকিবকে।
ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিমও এই আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আশা করেন, এমন আয়োজন প্লেয়ারদের মাঝে সম্পর্ক আরও গভীর করবে। বিপিএলের ব্যস্ত সূচির মাঝে এমন একটি আয়োজন কেবল খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে চাঙা করেনি, বরং তাদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে। চট্টগ্রামের মাঠের বাইরের এই মুহূর্তগুলো যেন এবারের বিপিএলের বিশেষ স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে।