‘পুরো দুনিয়া কাঁপিয়ে দিচ্ছ…’ সঞ্চালক শামীম আশরাফ চৌধুরীর এই কথাগুলো শুনেও নাহিদ রানা থাকেন নির্বিকার। কে বলবে, এই লিকলিকে গড়নের শরীর নিয়েই বল হাতে ঝড় তোলেন তিনি! তার বিনয় আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন ‘প্রথমবারের মতো’ ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি সামান্য হাসি দিয়ে তা গ্রহণ করেন।
জাতীয় দলের মতো বিপিএলেও নাহিদ রানার বোলিং রীতিমত চোখধাঁধানো। এবার তার আগুনঝরা বোলিংয়ে ছাই হয়ে গেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। একাই ৪ উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে অবাক করে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে নিজের বোলিংয়ের রহস্য জানিয়েছেন এই পেসার।
নাহিদ বলেন, ‘আসলে এটা হার্ড ওয়ার্ক, নিজের ফিটনেস, মেইনটেইন—সবকিছু মিলিয়ে…’
জাতীয় দল কিংবা বিপিএলে আগে কখনো ম্যাচ সেরা না হওয়ায় এবারের এই অর্জন নাহিদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পায়। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো লাগছে। কারণ এর আগে আমি কখনও বিপিএলের কোনো ম্যাচে বা জাতীয় দলের ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হইনি। এই প্রথম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে ভালো লাগছে।’
এ সময় নিজের কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ২২ বছর বয়সী এই পেসার আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। যখন যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলি বা বিসিবিতে থাকি, সবাই আমার যত্ন নেয় এবং ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়। আমি চেষ্টা করি উন্নতি করার।’
তিনি বল করেছেন ৪ ওভার, রান দিয়েছেন মাত্র ২৭ এবং তুলে নিয়েছেন জাকির হাসান, পল স্টার্লিং, জাকের আলী ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারির উইকেট। এই ৪ জনের যেকোনো একজনও ঘুরে দাঁড়ালেই প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারতেন। বড় বড় শিকারের সৌজন্যে নাহিদই বিছিয়ে দেন অপরাজিত রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়ের পথ।
নাহিদ বলেন, ‘রংপুর রাইডার্স যখন আমাকে দলে নিয়েছে, তাদের চাওয়া পূরণ করতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।’