সম্প্রতি একটি ভিডিওতে ব্রিটিশ এক ব্লগার ভারতীয় রেললাইন ও রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় মলত্যাগ করার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে ওঠে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয় এবং ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সচিব তারেক রহমান সম্প্রতি রিপাবলিক বাংলা টক 100-এ ভারতের স্যানিটেশন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ভারতীয় স্যানিটেশন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, “আপনার দেশে এখনও মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে, অথচ আপনার অফিসে হয়তো সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। আর আমাদের অফিসে দুটি থেকে তিনটি টয়লেট রয়েছে।”
তারেক রহমানের মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতির দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থা এখনও উন্নত হয়নি। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে আপনি রেললাইনের ধারে খোলা জায়গায় মলত্যাগের দৃশ্য দেখতে পাবেন।” তিনি আরও বলেন, “যতটুকু উন্নতি হয়েছে, তা অপ্রতুল।”
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে এবং এর মধ্যে ৭০ কোটি মানুষ ভারতের। ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ৭ কোটির বেশি মানুষ এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে, যা স্যানিটেশন ব্যবস্থার চরম সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
ভারত সরকার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরির জন্য ১০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, তবে এতে পরিস্থিতি খুব একটা বদলাতে পারেনি। এত বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পরও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত হয়নি।
এদিকে, ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে নেটিজেনরা তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। অনেকেই মন্তব্য করছেন, ভারতকে আগে নিজেদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে, তারপর অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত।
এভাবে, ময়ূখ রঞ্জনের ভিডিও এবং ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা আবারও তুঙ্গে পৌঁছেছে, যা দেশের অনেক মানুষের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।