বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে একপেশে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চলে গেছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৮৫ রানে গুঁটিয়ে যায় রংপুর। জবাবে ৫৮ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় পায় খুলনা। এই জয়ের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় রংপুর রাইডার্স।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। কিন্তু প্রথম থেকেই দুর্দশার শিকার হয় তারা। ওপেনার সৌম্য সরকার রান করার আগেই রান আউট হন। এরপর ওপেনিংয়ে নামা জেমস ভিন্স ৭ বলে ১ রান করে ফিরে যান।
শুরুতে একের পর এক উইকেট হারানোর পর রংপুর দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সাইফ হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান দ্রুত আউট হন। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই তারা ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯ রান তুলে। সোহান একমাত্র ক্রিজে টিকে ছিলেন, কিন্তু বাকিরা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
অন্দ্রে রাসেল ও টিম ডেভিডও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। রাসেল ৯ বলে ৪ রান করেন, আর ডেভিড ৯ বলে ৭ রান করে আউট হন। শেষ দিকে আকিফ জাভেদ ১৮ বলে ৩২ রান করে দলের স্কোর ৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৮৫ রানে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন আকিফ। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং মুশফিক হাসান।
খুলনা টাইগার্সের ইনিংস শুরু হয় নাঈম শেখ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ দিয়ে। মিরাজ ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন। তবে নাঈম শেখ দারুণ ব্যাটিং করে খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। ৩ নম্বরে নেমে অ্যালেক্স রসও সঙ্গ দেন নাঈমকে। দুজনের কার্যকরি ব্যাটিংয়ে খুলনার ইনিংস সহজভাবে এগিয়ে যায়। পাওয়ারপ্লে শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করে খুলনা।
নাঈম এবং রসের মিষ্টি পারফরম্যান্সে কোনো বিপদ ছাড়াই খুলনা ৫৮ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। নাঈম ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন, আর রস অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২৯ রান করে। রংপুরের হয়ে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন আকিফ জাভেদ।
এই জয়ের মাধ্যমে খুলনা টাইগার্স দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চলে যায় এবং রংপুর রাইডার্স টানা ৮ জয়ে শুরু করা বিপিএল থেকে বিদায় নেয়।