আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চেতনায় সংস্কারের জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি এবং উদাহরণ তৈরি করছি। পরবর্তী সরকার এসব পদক্ষেপ অগ্রাহ্য করবে কিনা তা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা আশা করি, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগের মতো গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এসব সংস্কার অস্বীকার করবে না।”
তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনের স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত ১১৩টি মামলা পাবলিক প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে প্রত্যাহার করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “স্বৈরাচারী আমলে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে চরম অস্বচ্ছতা ছিল এবং এর ফলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য একটি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ কাউন্সিলের সদস্যরা হবে প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের কয়েকজন বিচারপতি সহ ৬ সদস্য। এর নাম হবে সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আইন মন্ত্রণালয় ৩৬ ধরনের ডকুমেন্ট সত্যায়ন করে। ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ছিল, যার ফলে দিনের পর দিন মানুষকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হত। তবে এখন তা অনলাইনে করা হয়েছে, ফলে এক বা দু’দিনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে।”