মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে বৃথা গেল ইয়াসির আলী চৌধুরীর দুর্দান্ত ৯৪ রানের ইনিংস। বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই জমে উঠেছে উত্তেজনা। মিরপুরে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে দর্শকরা টিকিটের টাকা পেলেন ফেরত, আর উদ্বোধনী ম্যাচ থেকেই পেলেন এক জমজমাট বিপিএলের আভাস। ১৯৭ রান করার পরেও ৪ উইকেটে ফরচুন বরিশালের কাছে হার মানতে হলো দুর্বার রাজশাহীকে।
রাজশাহী টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়। ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ছিল দলের হয়ে রান সংগ্রহের অন্যতম প্রধান হিরো। শুরুটা ভালো না হলেও, প্রথম উইকেট হারানোর পর তিনটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন ইয়াসির ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। বিজয় ৫১ বল খেলে ৬৫ রান করেন, যার মধ্যে চারটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা ছিল। তবে ইয়াসিরের ইনিংস ছিল দুর্দান্ত—৪৭ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৯৪ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল সাতটি চার ও আটটি ছক্কা। রায়ান বার্লও ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর দাঁড়ায় ১৯৭/৩।
বরিশালের বোলিংয়ের দিকে তাকালে, দুর্বার রাজশাহী ব্যাটাররা ফাহিম আশরাফ, রিপন মণ্ডল ও তানভীর ইসলামদের থেকে দেদারসে রান বের করেছেন। শাহীন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৩ রান দেন, তবে কাইল মেয়ার্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে। মোহাম্মদ নবী ১ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন।
বরিশালের ব্যাটিংয়ের দিকে নজর দিলে, শুরুতে মনে হয়েছিল এই রান তাড়া করা সম্ভব। তবে রাজশাহী বোলিং ছিল শক্তিশালী। প্রথম বলেই জিসান আলম এলবিডব্লিউ করে দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। এরপর তামিম ইকবাল, কাইল মেয়ার্স, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় আউট হলে, বরিশাল ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
হার যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। শাহীন ১৭ বলে ২৭ রান করেন, তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে তার আউট হওয়ার পর রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ ম্যাচটি নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে তারা বরিশালের বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে দেন। ১১ বল হাতে রেখে বরিশাল জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।
৮৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে, ফাহিম আশরাফ ২১ বলে ৫৪ রান করেন, যেখানে একটি চার এবং সাতটি ছক্কা ছিল। রিয়াদ ২৬ বলে ৫৬ রান করেন, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার এবং চারটি ছক্কা।