এবারের আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের না থাকায় দেশীয় দর্শকদের আগ্রহও তুলনামূলক কম। তবে হঠাৎ করেই আশার আলো দেখিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে তার যোগাযোগের খবর যখন সামনে আসে, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে হয়তো আইপিএলে দেখা যাবে তাকে। বিশেষ করে লখনৌর বোলিং ইউনিট যখন প্রথম ম্যাচেই ভুগছিল, তখন তাসকিনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস তাদের পেস বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী করতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। মহসিন খানের জায়গায় শার্দুল ঠাকুরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার পর এবার তারা ফিরে পেয়েছে চোটগ্রস্ত পেসার আভেশ খানকে। দীর্ঘদিন ইনজুরির কারণে বাইরে থাকলেও, সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি মাঠে নামতে প্রস্তুত। আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচেই তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২০৯ রান করেও হারের স্বাদ নিতে হয় লখনৌকে। মূলত দুর্বল বোলিং ইউনিটের কারণেই ম্যাচটি হাতছাড়া হয়। তাই আভেশ খানের ফেরাটা তাদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। ফিট থাকলে তিনি নিয়মিত একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবেন, যা তাসকিন আহমেদের জন্য বড় ধাক্কা।
বর্তমানে লখনৌর স্কোয়াডে পেস বোলারদের সংখ্যা প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। মায়াঙ্ক যাদব দ্বিতীয় পর্বে যোগ দেবেন, আর এখন আভেশ ও শার্দুলের উপস্থিতি তাদের বোলিং আক্রমণকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে। ফলে তাসকিনের জন্য সুযোগ প্রায় শেষের পথে। যদি ভবিষ্যতে ইনজুরির কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন হয়তো তিনি আলোচনায় আসতে পারেন। তবে আপাতত তার আইপিএল খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।