বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ২৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত পৌনে দুইটার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে সকালে ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনটিতে থাকা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে যেতে পারে।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন পরিদর্শন করে এ ধরনের ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের এই ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অফিস রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অবস্থিত।
৭ নম্বর ভবনের নয়তলায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, আটতলায় সড়ক পরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় রয়েছে। সাততলায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ছয়তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। পাঁচতলায় রয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, এবং অর্থ মন্ত্রণালয়।
চারতলায় রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং অর্থ বিভাগ। তিনতলায় রয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দুইতলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। নিচতলায় রয়েছে কেয়ারটেকার অফিস, গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সকালে জানান, সচিবালয়ের আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয়তলা, এবং এসব তলায় থাকা নথিপত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।