মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দুই দিনে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত তার সিদ্ধান্তে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেন। চতুর্থ দিনে মোহাম্মদ সিরাজকে আউট না দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ক্ষোভ প্রকাশ করেন, এবং শেষ দিন জয়ের পর বিহাইন্ডের সিদ্ধান্তে ভারতীয়রা সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে, এই সমালোচনার মাঝেও, ভারতের সমালোচনা সত্ত্বেও, এলিট প্যানেলের বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সৈকত ধারাভাষ্যকারদের সমর্থন পান।
মেলবোর্ন টেস্টে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্যে সৈকতের সিদ্ধান্ত ছিল অন্যতম। চতুর্থ দিনে তিনি মোহাম্মদ সিরাজকে নট আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন, যা পরবর্তীতে সমর্থকদের মধ্যে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেকেই তার সিদ্ধান্তে সমালোচনা করলেও, অন্যরা এটিকে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রশংসা করেন।
টেস্টের শেষ দিনে, যখন অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া ছিল, ভারতীয় ওপেনার একাই লড়ছিলেন। সৈকত স্নিকোমিটার ব্যবহার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত দেন। যদিও স্নিকোমিটারে কোনো স্পাইক দেখা যায়নি, তবে বলটি জয়ের গ্লাভসে লাগার পর তার গতিপথ পরিবর্তিত হয়, এবং সৈকত আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এই সিদ্ধান্তে ধারাভাষ্য কক্ষে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সুনীল গাভাসকার সরাসরি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন, তবে হার্শা ভোগলে ও মার্ক নিকোলাস এটিকে সাহসী এবং সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
ভারতের অনলাইন মিডিয়া ও সমর্থকরা মাঠে এই সিদ্ধান্তের পর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মা হতাশা প্রকাশ করেন, তবে রবি শাস্ত্রী সৈকতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তার মতে, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে স্নিকো না মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার ছিল, এবং তিনি বলটির গতিপথ দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সঠিক ছিল।
এখন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের নির্ধারণী ম্যাচে সৈকত আবার থার্ড আম্পায়ার হিসেবে নয়, বরং অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে মাঠে থাকবেন।