বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে রাজসিক জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। সিলেট প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এর জবাবে বরিশাল ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজেই লক্ষ্য পার করে নেয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফরচুন বরিশাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে রান না করেই বিদায় নেন ওপেনার রনি তালুকদার। এরপর রাহকিম কর্নওয়াল ও জাকির হাসান পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে কর্নওয়াল ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হন।
এরপর জাকিরের সঙ্গে যোগ দেন জর্জ মানসি। জাকির রানের গতিতে সচল থাকলেও মানসি মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন। মাত্র ১৩ বলে ২৮ রান করে মানসি ৭৬ রানের মাথায় বিদায় নেন। পাওয়ারপ্লে শেষে সিলেটের রান ছিল ৬০, কিন্তু মানসির পর সিলেটের রানের গতি ধীর হয়ে যায়। জাকির ২৬ বলে ২৫ রান করে আউট হন। পরে আরিফুল হক ২৯ বলে ৩৬ রান করে সিলেটকে ১০০ রান ছাড়িয়ে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানেই থামে সিলেটের ইনিংস।
বরিশালের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন জাহানদাদ খান ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া ফাহিম আশরাফ ২ উইকেট নেন, কাইল মেয়ার্স ও শাহীন শাহ আফ্রিদি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল শুরুতে কিছুটা হোঁচট খায়। তামিম ইকবাল গোল্ডেন ডাক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যান। ৩ বলের মধ্যে ৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বরিশাল চাপের মধ্যে পড়ে। তবে কাইল মেয়ার্স এবং তাওহিদ হৃদয় তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন। পাওয়ারপ্লের শেষে তারা ৫৫ রান সংগ্রহ করে।
পাওয়ারপ্লে শেষে মেয়ার্স এবং হৃদয়ের ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ে। দুজনই সিলেটের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তোলেন। মেয়ার্স ফিফটি পূর্ণ করেন। হৃদয়ও ফিফটির কাছাকাছি পৌঁছান, তবে ২৭ বলে ৪৮ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত মেয়ার্স ৩১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফরচুন বরিশাল ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়।
সিলেটের হয়ে ২ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, আর ১ উইকেট নেন রাহকিম কর্নওয়াল।