শিরোনাম :
বাংলাদেশি ব্যাটারদের জাচ্ছেতা পারফরম্যান্স দেখে রেগে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সালাউদ্দিন প্রথমদিনে সাড়ে ৬ লাখ, ২০তম দিনেও আয়ে চমক দেখাল জংলি ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ বাংলাদেশকে আটকে দিতে ৩ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কত রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৭ রানের টার্গেট কত ওভারে জিতলে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়বে বাংলাদেশ বাংলাদেশে ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে খেলা নিয়ে মুখখুললেন সাকিব আল হাসান পিএসএলের ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লেন রিশাদ হোসেন পিএসএলে বিগত ৯ বছর পর এক বিরল কীর্তি করলেন রিশাদ দেশের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রেও চমক দেখাল শাকিবের বরবাদ জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে নতুন কোচ নিল বাংলাদেশ বিসিবিতে মুজিব শতবর্ষে যে দুর্নীতির আলামত পেয়েছে দুদক ড্রোন শোতে ওয়াসিমের ছবি না থাকার কারন জানালেন ফারুকী অধিনায়কত্ব ফিরেই ভেলকি দেখালেন ধোনি কলকাতা যে বাসা এখন আওয়ামী লীগের ‘সদর দপ্তরে’ আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস একনজরে দেখে নিন উন্ড রবিন লিগের খেলা শেষে, সুপার লিগ খেলবে যে ৬ দল যে কারনে বিসিবি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ করল হৃদয়কে যে দাবিতে কুয়েটে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা সামিটে দেড় কোটি খরচে, যত বিনিয়োগ এসেছে জানালেন আশিক ৬,৬,৬,৬,৪,৪,৪,৪ ডিপিএলে সাব্বিরের ব্যাটিং ঝড়

‘স্টার্টআপ নেশন’ হতে হলে আমাদের যা করতে হবে

মাহমুদুল হাসান / ১৩৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশকাল: বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

স্বৈরাচারের ১৬ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বা স্মার্ট বাংলাদেশের নামে যা হয়েছে, তা দুর্নীতি আর লুটপাট। প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ লাখ লোক চাকরির বাজারে ঢুকেছেন। আমরা বসে আছি বেকারত্ব নামের বোমার ওপর।

অর্থনীতির এই ক্রান্তিকালে আমাদের উত্তরণের শক্তিশালী উপায় হতে পারে স্টার্টআপ। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রচলিত রীতিনীতি অতিক্রম করে নতুন কিছু করাই স্টার্টআপের বৈশিষ্ট্য। এখানে প্রবৃদ্ধি হয় দ্রুত, ঝুঁকিও বেশি।

বাংলাদেশে স্টার্টআপের ইতিহাস দেড় দশকের। ২০১০ সালে বিকাশ দিয়ে এর যাত্রা শুরু। ১২ থেকে ১৩ বছরে বিনিয়োগ এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের কম। আবার এই বিনিয়োগ সরাসরি দেশের স্টার্টআপে না এসে, একটি বড় অংশ এসেছে বিদেশে তাদের হোল্ডিং কোম্পানিতে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্টার্টআপ উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু ভাবার অবকাশ আছে। সেগুলো নিয়ে কিছু কথা নিচে দেওয়া হলো।

১. নেশন ব্র্যান্ডিং: বিশ্বের সাধারণ নাগরিকের কাছে বাংলাদেশের তেমন পরিচিতি নেই। যদি থাকেও, সেটা মূলত নেতিবাচক-প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দরিদ্র দেশ। সঙ্গে যোগ হয়েছে বিগত অগণতান্ত্রিক সরকারের তকমা। অবশ্য কয়েক দশক ধরে ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। আমরা এখন ড. ইউনূসকে ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পারি। বিনিয়োগ বা সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বা ক্রেতা প্রথমে ‘দেশ’-এর রেটিং বিবেচনা করে। কোনো কোম্পানি সম্পর্কে বিবেচনা আসে দ্বিতীয় স্তরে।

২. ইনকিউবেশন: একজন উদ্যোক্তার আইডিয়া ব্যবসায় পরিণত করা বিশাল কাজ। আর প্রথম উদ্যোগ হলে তা হয় সম্পূর্ণ অচেনা ও বন্ধুর। তাদের প্রয়োজন হয় অর্থ, জায়গা, তথ্য, মানবসম্পদ ইত্যাদি। প্রয়োজন বুদ্ধি, পরামর্শ, জ্ঞান ও নেটওয়ার্ক। একজন তরুণ ও নবীন উদ্যোক্তার পক্ষে এসব জিনিস জোগাড় করা সম্ভব নয়।

ইনকিউবেশন সেন্টার নবীন উদ্যোক্তাকে হাতেকলমে সহায়তা করে। শিক্ষকেরা বুদ্ধি ও পরামর্শ দেন। ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো সাধারণত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। এই সেবার বিনিময়ে স্টার্টআপের পক্ষে অর্থ প্রদান করা সম্ভব না হলে শেয়ার দেওয়ারই প্রচলন।

৩. ফান্ড অব ফান্ড: স্টার্টআপরা যেখান থেকে পুঁজি পায়, সেখানে সাধারণত বিনিয়োগকারীকে কোম্পানির শেয়ার দিতে হয়। এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলো অর্থ পায় লিমিটেড পার্টনার থেকে। তাঁরা হতে পারেন কোনো বিত্তশালী ব্যক্তি, সংস্থা, পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, করপোরেট, ব্যাংক, বিমা বা অন্য কোনো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বা প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড। কিছু ফান্ড সরাসরি স্টার্টআপে বিনিয়োগ না করে অন্য কোনো ভেঞ্চার ফান্ডে বিনিয়োগ করে। এতে তাদের সুবিধা দুটি—ঝুঁকির বিস্তার, দ্বিতীয়ত লিভারেজ, ভেঞ্চার ফান্ড আরও অর্থ জোগাড় করে তার উদ্দেশ্য সাধনে সহায়তা করে।

ভারতে স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বা সিডবি ৫০০০ কোটি রুপির অধিক ফান্ড চালু করেছে, যা এসএমইতে বিনিয়োগকারী ফান্ডদের অর্থায়ন করে, ফান্ড অব ফান্ড হিসেবে। শর্ত থাকে, সেই ফান্ড সিডবির দেওয়া অর্থের সমপরিমাণ বা তারও বেশি জোগাড় করবে এবং তা এসএমইতে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশে ফান্ড অব ফান্ড নেই, তাই ভেঞ্চার ফান্ডের টাকা জোগাড় করতে বেগ পেতে হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *