ধোনি ফিরলেন অধিনায়কত্বে আর চেন্নাই ফিরল আবারো জয়ের ধারায়। মহেন্দ্র সিং ধোনিও দেখালেন তার ফিনিশার সত্ত্বা এখনও পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। বয়সের ভারে চোখের ছানির মতই একটা পর্দা পড়ে ছিল। অধিনায়কত্বের দায়িত্বের চাপে সেই পর্দা সরে যেতেও সময় লাগেনি।
আগে রুতুরাজ গায়কড়ের উপর ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বের দায়িত্বভার। এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের যাত্রায় চেন্নাইয়ের অবস্থান রয়েছে টেবিলের নিচের দিকে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি এমন বেহাল দশার কারণ কি, সে প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।
কিন্তু অবশেষে নেতৃত্বের দায়িত্ব স্থানান্তরে, যে জয়ের সূর্যের উদয় হল। টানা পাঁচ পরাজয়ের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল দলটি। আর দলকে সেই জয়ের বন্দর অবধি নিয়ে যেতে ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
তাকে নিয়ে এবারে আইপিএল ছিল তীব্র সমালোচনা। তিনি নাকি হারিয়ে ফেলেছেন নিজের সক্ষমতা, অহেতুক ধোনিকে বয়ে বেড়াচ্ছে চেন্নাই- এসব মন্তব্যের যেন ছিল না কোন অন্ত। কিন্তু এদিন প্রায় ২৩৬ স্ট্রাইকরেটের একটা ইনিংস খেলে তিনি জানান দিলেন- ফুরিয়ে যাওয়ার সময় এখনও আসেনি।
আজ ১১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললেন ধোনি। শিভাম দুবেকে সাথে নিয়ে দলের জয়ের অন্বেষণ চালালেন। সেই ধারাতে চার খানা চার ও একটি ছক্কা এসেছে ধোনির ব্যাট থেকে। অথচ ১১১ রানে পাঁচ উইকেট হারানো চেন্নাই, আরও একটি পরাজয়ের ক্ষণই সম্ভবত গুণছিল। কারও আস্থার কেন্দ্রে নেই আর ধোনির অবস্থান।
কিন্তু অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার পরই যেন ধোনি পেয়ে গেলেন নিজের সেই ম্যাজিকাল বাটন। প্রায় অসম্ভব এক রান আউট মঞ্চস্থ করেন তিনি। তাতে আউট হন আবদুল সামাদ। এরপর আবার ব্যাট হাতেও সেই পুরনো ফিনিশার ধোনির ঝলক মিলল। তাছাড়া বোলিং পরিবর্তনেও তিনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন বটে।
সব মিলিয়ে প্রত্যাবর্তনের একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের। এখন ধোনির নেতৃত্বে কতদূর যেতে পারে চেন্নাই, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। রুতুরাজের তো মৌসুম শেষ।