তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই যুদ্ধের হুমকি দিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, আলোচনায় অগ্রগতি না হলে পাকিস্তান সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ সরাসরি বলেন, “যুদ্ধ হবেই।”
আসন্ন ইস্তাম্বুল বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন আফগানিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান আবদুল হক ওয়াসিকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি, উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রহমতুল্লাহ নাজিব ও কূটনীতিক সুহাইল শাহিন। অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আসিম।
শান্তি বৈঠকে সীমান্ত সংঘর্ষ, ড্রোন হামলা ও বাণিজ্যিক রুট বন্ধ থাকা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সীমান্ত বন্ধ থাকায় বর্তমানে পাকিস্তানে আট হাজারেরও বেশি আফগান কনটেইনার আটকে আছে, যা দুই দেশের অর্থনীতিতে বড় ক্ষতি ডেকে এনেছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে ও সীমান্তপারের হামলার বিষয়ে নীরব। পাল্টা জবাবে কাবুল বলছে, পাকিস্তান ড্রোন হামলায় বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করছে এবং আইএস জঙ্গিদের সহায়তা দিচ্ছে।
এর আগে দোহায় স্বাক্ষরিত ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি রক্ষায় উভয়পক্ষ ৩০ অক্টোবর যৌথ বিবৃতিতে পুনরায় আলোচনায় বসার অঙ্গীকার করেছিল। এবার তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য যৌথ তদারকি প্রক্রিয়া গঠনের প্রস্তাবও আসতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের যুদ্ধের হুমকি এবং আফগানিস্তানের পাল্টা অবস্থানের কারণে ইস্তাম্বুল বৈঠক অনিশ্চয়তার ছায়ায় পড়েছে। তারা সতর্ক করে বলছেন, উভয়পক্ষ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য ও সীমান্ত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে না আনে, তবে শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই ভেঙে পড়তে পারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বপ্ন।
সূত্র: তোলো নিউজ, এনডিটিভি।

