ইরান জানিয়েছে, তারা নতুনভাবে তৈরি করা উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে, যা সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ জানিয়েছেন, “আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। এখন আমরা আরও ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছি। যদি জায়নবাদী শত্রু আবার কোনো আক্রমণ চালায়, আমরা অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাব।”
জুনের মাঝামাঝিতে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালিয়ে যুদ্ধে প্রবেশ করে। ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় ইসরায়েলের আক্রমণে জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং শতাধিক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আংশিক হামলা চালায়। এরপর ইরান মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর, এবং ইরানের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে যে কোনো মুহূর্তে নতুন লড়াই শুরু হতে পারে।
ইরানের উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেছেন, “ইরান যুদ্ধ চায় না, আমরা শত্রুতা বন্ধের অবস্থায় আছি, তবে যে কোনো সময় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।