সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তুরস্কের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাকান বাইরাক্সি এক মন্তব্যে বলেছেন, “তুর্কি সেনাবাহিনী চাইলে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তেলআবিবে প্রবেশ করতে সক্ষম।” এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাইরাক্সির মতে, এ মন্তব্য কোনো কল্পনা নয়, বরং তুরস্কের সামরিক শক্তি ও আঞ্চলিক প্রভাব প্রতিপত্তির বাস্তব প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, তুরস্ক এখন এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে অঞ্চলগত শক্তির ভারসাম্য বদলে দেওয়ার সামর্থ্য তার রয়েছে।
ইসরাইলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
এই মন্তব্যের পরপরই ইসরাইল কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটি অভিযোগ করেছে, তুরস্ক সিরিয়ায় একটি নতুন “অটোমান সাম্রাজ্য” প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। জবাবে তুরস্ক ইসরাইলের আগ্রাসী মনোভাব ও মধ্যপ্রাচ্যে তার কর্মকাণ্ডকে তীব্রভাবে সমালোচনা করে। বিশেষ করে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরাইলের নীতিকে তুরস্ক একটি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সামরিক পদক্ষেপ ও কৌশলগত অগ্রগতি
ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক হামলার পর তুরস্কের প্রতিক্রিয়াও হয়েছে দৃঢ়। সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমানঘাঁটিতে হামলার প্রেক্ষিতে, তুরস্ক সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এটি তুরস্কের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
চলমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান উত্তেজনা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালেও সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনও কম। তুরস্কের ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে তেলআবিবে পৌঁছানোর’ বক্তব্য সম্ভবত একটি কূটনৈতিক কৌশল, যার উদ্দেশ্য ইসরাইলের ওপর চাপ তৈরি করা। তবে সামরিক প্রস্তুতির গতিপ্রকৃতি নজরে রাখা জরুরি।