এক সেঞ্চুরিতে তামিম ও গেইলকে পেছনে ফেললেন বিজয়

এক সেঞ্চুরিতে তামিম ও গেইলকে পেছনে ফেললেন বিজয়

এত কাছে, তবুও অনেকটা দূরে—এভাবেই নিজের ইনিংসটিকে অনুভব করেছেন এনামুল হক বিজয়। শেষ ওভারে দুর্বার রাজশাহীর জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান, আর বিজয়ের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, রাজশাহীর অধিনায়ক সমর্থকদের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেননি। শেষ ওভারে দুটি ডট বল এবং মাত্র ৯ রান উঠলে রাজশাহী জয় থেকে বঞ্চিত হয়।

তবে, ৫৭ বলে নিজের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরিটি পেলেও বিজয় দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি দলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। দারুণ সম্ভাবনা থাকার পরও দিনটি রাজশাহীর জন্য সাফল্যমণ্ডিত হয়নি। তবে নিজের এবং বিপিএল ইতিহাসে অসাধারণ একটি রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছেন বিজয়।

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫৭ বলে ১০০ রানের ইনিংসটি সাজান বিজয়, যেখানে ছিল ৯টি চার এবং ৫টি ছক্কা। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি বিপিএল ইতিহাসের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ১০০ ছক্কার মালিক হন। তালিকায় আগেই আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল, বাংলাদেশের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তবে, বিজয়ের অর্জনকে তুলনা করা যেতে পারে শুধু গেইল ও তামিমের সঙ্গেই। বিপিএলে সেঞ্চুরি এবং ১০০ ছক্কা, এই তিনজনেরই রয়েছে। সর্বোচ্চ ৫ সেঞ্চুরি এবং ১৪৩ ছক্কা রয়েছে গেইলের, যিনি ‘ইউনিভার্স বস’ হিসেবে পরিচিত। তামিম ইকবালের ছক্কা ১১৯টি এবং সেঞ্চুরি ২টি। আর বিজয়ের সেঞ্চুরি হলো ৬টি, ছক্কা ১০৪টি।

মুশফিকুর রহিমের ১০২টি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১০০ ছক্কার কীর্তি থাকলেও, তারা কেউই বিপিএলে সেঞ্চুরি পাননি। মুশফিকের সর্বোচ্চ রান ছিল ৯৮, যা তিনি অপরাজিত ছিলেন, আর মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ রান ছিল ৭৩।

এদিকে, বিজয়ের সেঞ্চুরির মাধ্যমে বিপিএল ইতিহাসে এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ২০২৫ বিপিএলে তার ব্যাটে এসেছে ৭ম সেঞ্চুরি, যা আগের রেকর্ড ৬ সেঞ্চুরি (২০১৯ বিপিএলে) ছাড়িয়ে গেছে, এবং আরও ২০ ম্যাচ বাকি থাকতেই এই রেকর্ড স্থাপন করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *