কিছু আসনে বিএনপি প্রার্থিতা নিয়ে বিতর্ক, তালিকায় নেই অনেক পরিচিত মুখ

কিছু আসনে বিএনপি প্রার্থিতা নিয়ে বিতর্ক, তালিকায় নেই অনেক পরিচিত মুখ

বিতর্ক, বিক্ষোভ ও ভারসাম্যের খোঁজে বিএনপির প্রার্থী তালিকা

২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, এই তালিকায় অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও তরুণ মুখের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। তবে কয়েকটি মনোনয়ন ঘিরে দলে দেখা দিয়েছে বিতর্ক, অসন্তোষ ও মাঠপর্যায়ের বিক্ষোভ।

তরুণদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে ৮৩ জন তরুণ, যাদের অনেকেই সাম্প্রতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তবে নারী প্রার্থী মাত্র ১০ জন এবং সংখ্যালঘু প্রার্থী মাত্র ৪ জন—যা প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে দুর্বল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
অনেক তরুণ প্রার্থীর পারিবারিক রাজনৈতিক পটভূমিও রয়েছে—বাবা বা স্বামী কেউ না কেউ ছিলেন জনপ্রতিনিধি।

বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা

মনোনয়ন পাননি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন–নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন।
রিজভী বলেছেন, “দল যা ভালো মনে করেছে, সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

বিক্ষোভ সাত জেলায়

মনোনয়ন ঘোষণার পর অন্তত সাত জেলায় বিক্ষোভ, অবরোধ ও সংঘর্ষ হয়েছে—মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নাটোর ও নওগাঁয়।
মাদারীপুর–১ আসনে বিক্ষোভের মুখে প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি।
চট্টগ্রাম–৪ আসনেও আসলাম চৌধুরীকে বাদ দেওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

বিতর্কিত মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা–১৪ আসনে সানজিদা ইসলাম, ঢাকা–১৫ এ মো. শফিকুল ইসলাম খান, সিলেট–৩ এ লন্ডনপ্রবাসী মোহাম্মদ আবদুল মালিকসহ কয়েকটি মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি আসনে বহিরাগত বা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা কেন

বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছেন, ক্ষোভ প্রশমিত করতেই আগেভাগে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার আগেই মাঠপর্যায়ের বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া হবে।

জোটের জন্য ৬৩ আসন ফাঁকা

৩০০ আসনের মধ্যে ৬৩টিতে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। এসব আসন রাখা হয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর জন্য।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম অন্তত ১২টি আসন চেয়েছে। গণ অধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।

বিএনপির ব্যাখ্যা

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,

“এখানে গুমের শিকার পরিবারের সদস্য, ছাত্রদল–যুবদলের নেতারা রয়েছেন। নবীন–প্রবীণের সমন্বয়ে আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ মনোনয়ন দিয়েছি।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *