জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নতুন করে রাজনীতির আলোচনায় এসেছে। বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তি’ হিসেবে এনসিপিকে তাদের নির্বাচনি জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে। সূত্রে জানা গেছে, দুই দলের পক্ষ থেকেও পর্দার আড়ালে এনসিপির সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ চলছে।
তবে এনসিপি কোনো বড় দলের সঙ্গে জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে না। দলের নেতারা মনে করেন, বড় দলের সঙ্গে জোট গঠন করলে রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য হারানোর প্রবণতা বাংলাদেশে আগেও দেখা গেছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা হাসানুল হক ইনু এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের অভিজ্ঞতা এই বিষয়ে শিক্ষণীয় বলে দলটি মনে করছে। অতীতের সেই উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে এনসিপি এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।
গত শুক্রবার রাতে বিএনপির এক নেতার বাসায় এনসিপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। সেখানে এনসিপি নেতারা পরিষ্কার করে জানায়, আসন্ন নির্বাচনে কোনো দলের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না দল। বিএনপি এনসিপিকে ৮–১০টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তা নাকচ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “ছোট দল অন্য কোনো বড় রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তাদের মূল মতাদর্শ হারিয়ে যায়। ইনু-মেননের দলগুলো তারই উদাহরণ। আমরা সেই ভুল পথে পা বাড়াবো না।”
এনসিপি বরং নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রেখে যুগোপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাজনীতির শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে চায়। দলটির লক্ষ্য, ক্ষমতার জন্য কোনো অন্য দলের লেজুড়বৃত্তি না করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

