ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জরুুল হাসান ঃ(সুইডেন প্রবাসী আইটি কনসালট্যান্ট) স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকে একমাত্র দুর্নীতিই বাংলাদেশকে গ্রাস করে চলেছে।
বিগত ৫৪ বছর সকল সরকারের আমলেই র্দর্নীতি চলছে সমান তালে। কেবলমাত্র দুর্নীতি আমাদের সকল সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ৫৬
হাজার বর্গ মাইলের একটি দেশ বাংলাদেশ। ভৌগোলিক বিবেচনায় বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ
বাংলাদেশ। ঠাশাঠাশি করে আঠার কোটি লোক বসবাস করে বাংলাদেশে।।চরম দুর্নীতি সত্যেও কিভাবে যে আঠার কোটি লোক খেয়ে পড়ে
বেচে আছে, ভাবাই যায় না। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপৃর্ন দেশ হলেও বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী দেশও বাংলাদেশ। বিশ্বের
অনেক দেশ মাত্র দুই একটি সম্পদের অধিকারী হওয়া সত্যেও ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে, ঐ সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে,
বাংলাদেশে রয়েছে অঢেল সম্পদ। যেমন- পাট, চা, চামড়া, ধান, নারিকেল সুপারী সহ বিপুল ফলফলাদি, কাঠ, মাছ, মিঠা পানি, গ্যাস ও আরো
অনেক কিছু।। দুর্নীতি বন্ধ করে এসব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প সময়ের ব্যবধারে বাংলাদেষ বিশ্বের সেরা ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হতে
পারে। কিন্তু দূর্নীতির কারনে বিগত ৫৪ বছরেও কাঙ্খীত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হয় নাই। বাংলাদেশকে উণœয়নের চরম শিখরে পৌছাতে হলে,
অবশ্যই দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে।। পাশাপাশি দুবৃত্তায়নের রাজনীতি,সন্ত্রাস, মাদক ও দারীদ্র নিমৃল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে সর্বোস্তর্ রে।
এ বিষয়ে উদাহরন হিসেবে সিঙ্গাপুরকে তুলে ধরা যায়। ১৯৪৫ এ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় নিঃতান্ত গরীব, দুর্নীতিপরায়ন একটি জঘন্য রাষ্ট্র
হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল সিঙ্গাপুর। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ্ওই দেশটি দুর্নীতি ও দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলন শুরু করে খুব দ্রুত উন্নতির
এক চড়ম শিখরে পৌছে যায়। তেমন কোন সম্পদ না থাকা সত্বেও শুধু দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সিঙ্গাপুর আজ একটি সুশৃঙ্খল
সুন্দর আধুনিক ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হোতে পারলে বাংলাদেশ পারবে না কেন? আমদেরকে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের দৃষ্টান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশে কে বা কারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলো সেটা গুরুত্বপুর্ন বিষয় না। গুরুত্বপুর্ন বিষয় হোল, দেশ থেকে দূর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক , চাদাবাজী
,লুটপাট,দখলবাজী, টেন্ডারবাজী ও সিন্ডিকেট ব্যবসা নির্মুল করা গেল কিনা? দুবৃত্তায়ন ও দুঃশাসন নির্মুল করে দেশে শত ভাগ সুশাসন প্রতিষ্টা
করতে হবে।প্রয়োজনে বিদেশী অথবা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ নিযোগ দিয়ে দূর্নীতি ঠেকাতে হবে।দেশকে সুশৃঙ্খল একটি সিসটেমের
আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে সর্বোশক্তি নিয়োগ করে দুনীতির সব ফথগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের ন্যায় বাংলদেশে
সিসটেম চালু করতে হবে।। কয়েকটি স্তরে পদ্ধতিগতভাবে নিয়šন¿ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কঠিন আইন প্রনয়ন করে সর্বো চ্চ সশ্রম কারাদন্ডের
বিধান রাখতে হবে।দূর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব স্থাপনকারীদের বিশেষভাবে পরুুস্কৃত করার বিধান থাকতে হবে। শুধু আইন প্রয়োগ করে হবে
না, বিশেষ করে জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে শতস্ফুর্তভাবে দূর্নীতি দমন কার্যকর করার জন্য। বিশেষ ভাবে জনগনকে স্বচেতন করে গড়ে
তুলতে হবে। বড় বড় উন্নয়ন কাজের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দূর্নীতি বন্ধ করার জন্য এবং মেঘা প্রকল্পে খরচ কমানোর জন্য
প্রয়োজনে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে হবে। কোন ধরনের সরকার ক্ষমতায় আসবে সেটা গুরুত্বপুর্ন বিষয় না, বরং গুরুত্বপুর্ন বিষয় হোল
কিভাবে দূর্নীতি কমানো যায় বা নির্মুল করা যায়। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দূর্নীতি ক্যানসারের মত সব সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিচ্ছে।
অতএব, দূর্নীতি নির্মুল করতে হবে কঠোর হস্তে।
এর পরের ধাপে শুরু করতে হবে প্রধানতমঃ প্ির ক্রয়ার কাজ। এই প্রক্রিয়ায় গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা। দুই স্ত ’ রে বিস্তৃত হবে
গোয়েন্দা সংস্থার কাজ।মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে চালিয়ে যেতে হবে মনিটরিংএর কর্মসূচী। দূর্নীতিবাজদের নতুন আইনের আওতায় এনে কঠোর
শাস্তির বিধান করতে হবে।বাংলাদেশে দুর্নীতির একটি বৈশিষ্ট হোল, দুর্নীতির অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। বিগত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে
যে পরিমান অর্থ পাচার হয়েছে তা দিয়ে আর একটি বাংলাদেশ তৈরী করা যেত।
এছড়া দেশকে দূর্নীতি মুক্ত করতে হলে প্রাথমিক ভাবে জাতীয় সংসদকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। একমাত্র নতুন আইন পাশ করা ছাড়া সংসদদের
জাতীয় উন্নয়নের কাজে সম্পৃক্ত করা যাবে না। জতীয় সংসদ নির্বাচন সহ দেশের সর্বস্তরের নির্বা চনকে দুর্নীতিমুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে।
নির্বাচন কমিশনকে ও দূর্নীতি দমন কমিশনকে কঠোর সংস্কারের আওতায় আনতে হবে। ব্যায়বহুল বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিকে পরিহার করে
নির্বাচনকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে হবে। ৭১এ স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি যে পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে তা দিয়ে আর
একটি বাংলাদেশ বানানো যেত। ভেবে দেখুন, দুর্নীতি না থাকলে বাংলাদেশ আজ সোনার বাংলা হয়ে যেত। অতএব, কালক্ষেপন না করে দুর্নীতি
দমন এখনই কাযর্ক র করতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অত্র পব্র ন্ধকার জনাব মঞ্জুরুল হাসান প্রবাসে স্থায়ীভাবে বসবাসরত একজর বিশেষজ্ঞ আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন সফল
ব্যবসায়ীও বটে। তিনি অত্যাধুনিক ভিশন নিয়ে কাজ করেন এবং দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশকে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠিত সোনার বাংলা গড়ার সপ্ন দেখেন। তিনি নিঃস্বার্থভাবে বংলাদেশ নিয়ে ভাবেন ্এবং লেখলেখি করেন।দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে উনার যে মেসেজ থাকে তা
দেশবাসীর কাছে পৌছে দেওয়া সকলের দায়ীত্ব।

