টেপ টেনিসের সঙ্গে আমার পরিচয় খুব বেশি না থাকায় আব্দুল গাফফার সাকলাইনকে প্রথমে সেই মাধ্যমে চিনিনি। প্রথম দেখেছি ২০২৪ সালের এনসিএল টি-২০তে, তবে সত্যিকারভাবে পরিচিতি পেয়েছি এবার ডিপিএলে, গাজী গ্রুপের হয়ে খেলতে। সেখানে সাকলাইনের বোলিং একশন ছিল অনন্য এবং নজর কাড়ার মতো।
যদিও আমাদের দেশের বয়সভিত্তিক খেলা খেলোয়াড়দের আলাদা গুরুত্ব দেয়, সাকলাইনের নাম এত দ্রুত আলোচনায় আসবে ভাবিনি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলে তাকে দেখে সত্যিই খুশি হয়েছি। ডিপিএল বা এনসিএলে তার পারফরম্যান্স হয়তো সবসময় চোখে পড়েনি, তবে রংপুরের হয়ে এনসিএলে শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে তার সূক্ষ্ম অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো।
এখন সাকলাইন বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ভালো করছে। গতি হয়তো ১৩০ কিমি/ঘণ্টা অঞ্চলের, তবে সবচেয়ে ইমপ্রেসিভ দিক হলো তার স্লোয়ার ডেলিভারি। রিস্ট মুভমেন্টে সে স্মুথ এবং ধারালো—মুস্তাফিজের মতো স্বাভাবিক বল ঘোরানো যায় বলে মনে হচ্ছে।
বয়স ২৭ হলেও, অনেক পেসারের জন্য এই বয়সেই ব্রেকথ্রু হয়। এবার বিপিএলে সাকলাইনকে ভালো কোনো দলে সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক এক্সপোজার নিশ্চিত, যা তার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সমস্যা হলো এবারের বিপিএলে মাত্র ৫টি দল। প্রতি দলে দুইজন স্থানীয় পেসার ধরলে মোট ১০জনই খেলবেন, ফলে উঠতি পেসারদের নিয়মিত সুযোগ পাওয়া চ্যালেঞ্জিং। ইতিমধ্যে তাসকিন, মুস্তাফিজ, হাসান, তানজিম, শরীফুল, নাহিদ রানা, খালেদ, সাইফুদ্দিন—এই ৮জন পরিচিত পেসারই রয়েছেন। এদের সঙ্গে আবু হায়দার রনি, রিপন, মুশফিক হাসান ও মৃত্যুঞ্জয়—মোট পরিচিত মুখের সংখ্যা বেশি।
ফলে নিয়মিত একাদশে সুযোগ পাওয়া সাকলাইনের জন্য চ্যালেঞ্জ, তবে আশা রাখি সে তা পাবে। এই সীমিত দলসংখ্যা এই বিপিএলটিকে উঠতি পেসারদের জন্য একটু কঠিন করে তুলেছে।

