ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হারের পর কান্না আটকে রাখতে পারলেন না নেইমার। ম্যাচ শেষে মাঠেই বসে পড়েন তিনি। সতীর্থ ও কর্মকর্তারা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হতাশায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
আজ সকালে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ লিগে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬–০ গোলে হেরে যায় নেইমারের ক্লাব সান্তোস। প্রথমার্ধে মাত্র একটি গোল হজম করলেও বিরতির পর একে একে আরও পাঁচবার বল জালে জড়ায় ভাস্কো। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি সান্তোস।
এর আগে নেইমারের সবচেয়ে বড় হার ছিল ৪–০ গোলের। ২০১১ সালে সান্তোসের জার্সিতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপে এবং ২০১৭ সালে বার্সেলোনায় খেলার সময় পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে এমন হারের মুখ দেখেছিলেন তিনি। তবে এবারের হার সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেল। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ব্রাজিলের ৭–১ গোলে ভরাডুবি ম্যাচে অবশ্য ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি নেইমার।
এই ম্যাচে আলাদা করে নজর ছিল নেইমার ও তাঁর সতীর্থ ফিলিপে কুতিনিওর ওপর। তবে মাঠের লড়াইয়ে জয় হাসলো কুতিনিও। ভাস্কোর জয়ে দুটি গোল করেন সাবেক লিভারপুল ও বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। গোল দুটি আসে ৫৪ ও ৬২ মিনিটে।
এই জয়ে অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে ভাস্কো দা গামা। ১৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা অবস্থান করছে ১৬ নম্বরে। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সান্তোস রয়েছে ১৫ নম্বরে।
ম্যাচ শেষে নেইমারের কণ্ঠে শোনা গেছে হতাশার সুর—
‘আমি লজ্জিত। পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদের অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা ছাড়া। তারা যদি গালি দেয় বা সমালোচনা করে, সেটাও স্বাভাবিক। জীবনে এর আগে এমন কিছু হয়নি। রাগ, হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকেই কান্না চলে এসেছিল।’
হারের কিছুক্ষণ পরই কোচ ক্লেবার হাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে সান্তোস কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে হাভিয়েরের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে তারা।

