By প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বৃদ্ধির প্রস্তাব, বছরে খরচ হবে ৮৩২ কোটি টাকা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান সহকারী শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান আগের তুলনায় বেড়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ইতোমধ্যেই ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা যৌক্তিক বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে প্রত্যেকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বাড়বে।
তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান।
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
