ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কালমেগির তাণ্ডবে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় সেবু দ্বীপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে এবং মানুষ কাদামাটি সরিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছেন। সেবু প্রদেশে ৭১ জনের মৃত্যু, ১২৭ জন নিখোঁজ এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন। জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস বৃহস্পতিবার ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রাদেশিক প্রশাসন আরও ২৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দেশজুড়ে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, প্রায় ১০ থেকে ১২টি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি শুধু কালমেগির ক্ষতির জন্য নয়, বরং সপ্তাহান্তে আসন্ন আরও একটি ঝড় ‘উয়ান’-এর জন্য আগাম প্রস্তুতির অংশ। জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা সরকারি তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দেয় এবং ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্রুত বিতরণে প্রশাসনিক বাধা কমায়।
কালমেগি শক্তি বাড়িয়ে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে। জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে টাইফুন ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে, যা সেখানে চলমান বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

