জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ আয়োজনে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই প্রেক্ষিতে বুধবার বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদকের একটি টিম। মুজিববর্ষের খরচ, তৃতীয় বিভাগ বাছাই টুর্নামেন্টে দল নির্বাচন, ও বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে তারা।
অভিযানে অংশ নেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন সাংবাদিকদের জানান,
“মুজিববর্ষে আয়োজনে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত বিসিবি কেবল ৭ কোটি টাকার ডকুমেন্টস দেখাতে পেরেছে। ২ কোটি টাকার খরচ সম্পর্কে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। ফলে প্রায় ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।”
তৃতীয় বিভাগ বাছাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দুদক। যেখানে আগের বছরগুলোতে অংশ নিতো মাত্র ২-৩টি দল, এবার সেখানে অংশ নেয় ৬০টি দল। বিষয়টি শুধুই এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির কারণে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য— সেটিও তদন্তাধীন।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিকিট বিক্রি নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথম আট আসরে মোট টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। অথচ একাদশ আসরেই টিকিট বিক্রির হিসাব দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি টাকা— যা সন্দেহজনকভাবে অস্বাভাবিক।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এই বিষয়ে বলেন,
“তারা (দুদক) কিছু তথ্য ও নথিপত্র চেয়েছেন। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে।”
এ বিষয়ে বোর্ডের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“আমরা বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নির্দেশনায় কাজ করি। বোর্ড যে নীতিনির্ধারণ করে, আমাদের কাজ সেটি বাস্তবায়ন করা।”