ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি এখনও পুরোপুরি পর্তুগিজ শিখতে পারেননি। তবে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ভাষা তিনি ভালোভাবে বোঝেন এবং ইতিমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছেন।
ছয় মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর আনচেলত্তি দলকে আগের তুলনায় আরও রক্ষণাত্মকভাবে সাজিয়েছেন। তার অধীনে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ব্রাজিল মাত্র এক গোল হজম করেছে। জাপানের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হারের পর সতর্কবার্তা পেয়েছে দলটি। এরপর সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় সেলেসাওরা।
এ পর্যন্ত আনচেলত্তির কোচিংয়ে সাত ম্যাচে ব্রাজিলের অর্জন: চার জয়, একটি ড্র ও দুটি হার, করেছেন ১২ গোল ও হজম মাত্র ৪টি। সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, “ব্রাজিলের শেষ বিশ্বকাপ জয়ের আসরগুলোতে রক্ষণ ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই দলগুলোতে প্রতিভাধর খেলোয়াড়রা খেলায় আনন্দ পেলেও রক্ষণকে কখনো উন্মুক্ত হতে দেননি।”
তিনি আরও জানান, “১৯৯৪ বিশ্বকাপের উদাহরণ মনে আছে। দুজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, পেছনে শক্ত রক্ষণ আর সামনে বেবেতো ও রোমারিও পার্থক্য গড়েছিলেন। বিশ্বকাপে আমার পরিকল্পনা এমনই – শক্ত রক্ষণ, যার ওপর ভিত্তি করে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে।”
২০০২ সালের পর ব্রাজিল আর বিশ্বকাপ জেতে পারেনি। তাই রক্ষণে বেশি গুরুত্ব দিতে চান আনচেলত্তি। তিনি পরিকল্পনা করেছেন, রিয়াল মাদ্রিদের মিলিতাওকে ব্রাজিল দলে রাইট-ব্যাক হিসেবে ব্যবহার করবেন। নির্ভরযোগ্য ফুল-ব্যাক নিশ্চিত করাও তার অগ্রাধিকারের মধ্যে।
জাপানের বিপক্ষে তিন গোল হজমের পর ভুলগুলো চিহ্নিত করেছেন আনচেলত্তি। এবার সেই জায়গাগুলো উন্নত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দল গড়াই লক্ষ্য।

