মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে ৩ হাজার ৩৩১ শ্রমিকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপ্রাপ্তরা হলেন—
- মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক রুহুল আমিন
- মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী ও এমডি শাহানা ফেরদৌস
- সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিক শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান
- ইমপেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি মো. বদরুদ্দৌজা চৌধুরী
- আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর
- থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক জয়নাল আবেদীন ও পরিচালক শামেসের আহমেদ।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শ্রমিকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮,৯৯০ টাকার পাঁচগুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। পাশাপাশি বিএমইটি ও বায়রা’র নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে শ্রমিক নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়েছেন।
কর্মীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করে তা আত্মসাৎ এবং অবৈধভাবে বিদেশে হস্তান্তর ও রূপান্তর করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি)/১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫(ক)/৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারার ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে।

