টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে অবসরের পরও টেস্ট দলে নিয়মিত মুখ মুশফিকুর রহিম। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এই সাবেক অধিনায়ক। সবকিছু ঠিক থাকলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেই যুক্ত হবেন এই এলিট ক্লাবে।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। নিয়মিত অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম ও খেলাকে উপভোগ করার মানসিকতা তাঁকে টেস্টে অপরিহার্য একজন ব্যাটারে পরিণত করেছে। এখন পর্যন্ত ৯৯ টেস্টে তার সংগ্রহ ৬ হাজার ৩৫১ রান; রয়েছে ১২ সেঞ্চুরি, ২৭ হাফ সেঞ্চুরি এবং তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে তিন ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি এবং বিশ্ব ক্রিকেটে একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটার যিনি দুইবারের বেশি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
মুশফিক কতদিন টেস্ট খেলবেন—প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানান, সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ মুশফিকের ওপর। সিমন্স বলেন, “ফিটনেস ও পারফরম্যান্স—এই দুই জায়গাতেই সে এখনো দারুণ। যতদিন ফিট থাকবে, পারফর্ম করবে এবং খেলার ইচ্ছা থাকবে, ততদিন খেলবে। সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।”
২০২৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে মুশফিকের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন সিমন্স। তখনই তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন খেলাকে উপভোগ করে যেতে। সিমন্সের ভাষায়, “তুমি পারফর্ম করলে তুমিই ঠিক করবে কতদিন খেলবে।”
বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় মুশফিকের আসন্ন ১০০তম টেস্টকে বড় এক মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সবাই। কোচও বিশ্বাস করেন, এখনও দলের অন্যতম ফিট ও নির্ভরযোগ্য সদস্য তিনি।

