যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী একত্র হন, জানায় এএফপি ও দ্য গার্ডিয়ান।
এ বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক বিতর্কিত পদক্ষেপ।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ওয়াশিংটনের মেঘলা আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে অংশ নেয়।
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে ট্রাম্পবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে অংশ নেয়। নিউইয়র্কেও হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন শুল্কনীতির মাধ্যমে একাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন বিজ্ঞানী, শিল্পী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ, এমনকি গৃহিণীও।
তাদের মতে, এই শুল্কনীতি শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ককেই নয়, খাদ্য, প্রযুক্তি এবং জ্বালানির দামকেও প্রভাবিত করছে। শনিবারের বিক্ষোভের নাম রাখা হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’, যার অর্থ হতে পারে ‘আমরা নিজেদের মতো চলতে চাই’।
এই বিক্ষোভে ১৫০টিরও বেশি সংগঠন অংশ নিয়েছে এবং এর প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই নয়, বরং কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মেক্সিকো এবং পর্তুগালেও ছড়িয়ে পড়েছে।
লন্ডনে প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী ব্যানার হাতে জড়ো হন, তাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, যারা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে বিশ্ব বাণিজ্যে একতরফা হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন।