যে কারনে পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

যে কারনে পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। এ ছাড়া পরীমণি আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে পরীমনির সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন, যেখানে বলা হয়, পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি (জিম) বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

২০২১ সালের ৬ জুলাই নাছির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনি ও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত এবং নামী ক্লাবগুলোতে গিয়ে অ্যালকোহল পান করেন, এরপর পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করার ঘটনা ঘটে। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে বাদীকে হয়রানির ভয় দেখান।

২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে, যেখানে পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পান করেন এবং পরবর্তীতে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি নাসিরের দিকে একটি সারভিং গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে নাসির আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলায় আরও বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসিরকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং বোট ক্লাবে ভাঙচুর চালান। এই ঘটনার পরে পরীমনি সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৪ জুন পরীমনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, কিন্তু তদন্ত শেষে পুলিশ ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *